প্রতীকী চিত্র।
স্কুল-ছুট ঠেকাতে এ বার জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শিশুর আলো প্রকল্পেই ভরসা রাখছে সরকার। শুরু হয়েছে প্রকল্পের কাজ।
পাঠ্যক্রমের সঙ্গে পরিচিতি না থাকার জন্য এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারায় স্কুল-ছুটের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শিশুদের মানসিক বিকাশ বৃদ্ধির সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষায় এই ‘ড্রপ আউট’ সংখ্যা কমানোর জন্য সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে বেছে নিয়ে ‘শিশুর আলোয়’ প্রকল্প চালু হয়েছে। জেলায় ইতিমধ্যেই সাড়ে পাঁচশো স্কুলে চালু হয়েছে এই প্রকল্প।
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের বীরভূম জেলা প্রকল্প আধিকারিক অরিন্দম ভাদুড়ি বলেন, ‘‘জেলার ৪৭৯৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মধ্যে ৫৫০টি কেন্দ্রকে শিশুর আলোয় প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৬৯টি কেন্দ্রকে শিশুর আলোয় প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বাকিগুলিতেও খুব শীঘ্রই চালু করা হবে।’’ তিনি জানান, ৩৬৯টি শিশুর আলো কেন্দ্রগুলির মধ্যে ১১৭টি কেন্দ্রে একটি করে ঘর আলাদা করে নির্মাণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই ঘর গুলিতে যে সমস্ত শিশুর মা বাবা সারাদিন কাজের জন্য বাইরে চলে যান সেই সমস্ত শিশুদের দিনভর রাখা হবে।
ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ব্লকে ওই ঘর নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রকল্প আধিকারিকের দাবি, অনেক ব্লকে সেই ঘর নির্মাণ করেও ফেলেছে। কিছু কেন্দ্রে নির্মাণের কাজ চলছে। অন্যদিকে শিশুর আলোয় প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটানো থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্বন্ধে শিশুদের সম্যক ধারণা দেওয়ার দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পে প্রতি ছ’মাস অন্তর ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঐ টাকায় শিশুদের পরিবেশ সম্বন্ধে, কখনও সমাজ সম্বন্ধে কখনও পশু পাখি জীবজগৎ সম্বন্ধে বিভিন্ন ধারণা দেওয়া হবে। অন্যদিকে জেলাতে যে সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন নেই সেই সমস্ত কেন্দ্রগুলির ভবন নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর জেলাতে ৪৭৯৬ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে ভবন নেই ১৫৩১টি কেন্দ্রের।
তবে সম্প্রতি ৮১টি কেন্দ্রের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তার মধ্যে ৬৮টি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। বাকিগুলির মধ্যে ৩টি জঙ্গলমহল এলাকা উন্নয়ণ প্রকল্পে, ৩টি নির্মাণ হবে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ণ প্রকল্পে, ৭টি নির্মাণ হবে পরিকল্পনা দফতরের মাধ্যমে।