রঙিন: গ্রামীণ মেলায় টুসু নাচ। পুরুলিয়ার মানবাজার ২ ব্লকের জয়পুর গ্রামে। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো।
মকর সংক্রান্তির মেলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে টুসু নৃত্যের দল। তবে খাতড়ার ‘বনতিল্লা-পিঠাবাইদ-জিৎপুর-মুর্গাডাঙা টুসু মেলা’ কমিটির আয়োজিত টুসু মেলায় রবিবার ভিড় উপচে পড়ল। বনতিল্লা গ্রামের মাঠে জমে উঠল টুসু নাচ। কিন্তু করোনাকালে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের এই মেলায় সামাজিক দূরত্ব ও মাস্কের ব্যবহার প্রায় দেখাই গেল না। মেলা কমিটি অবশ্য মাস্কের ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে বার বার মাইকে ঘোষণা করেছে।
প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় ১২টি টুসু নাচের দল। সময়ের অভাবে অন্তত তিনটি দলকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে কেঁন্দাজোড় পাহাড় সিনি টুসু সঙ্গীত দল, দ্বিতীয় হয়েছে আমডিহা তরুণ সঙ্ঘ টুসু নৃত্য দল ও তৃতীয় হয়েছে পিঠাবাইদ শ্রীগৌরাঙ্গ টুসু সঙ্গীত দল। তিনটি দলকে যথাক্রমে ছয় হাজার, পাঁচ হাজার ও চার হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
ছিলেন রানিবাঁধের বিধায়ক তৃণমূলের জ্যোৎস্না মান্ডি, খাতড়া ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী জিতেন্দ্রিয়ানন্দ, খাতড়া ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের উত্তম মাহাতো প্রমুখ।
মেলা কমিটির সভাপতি গান্ধী রাজোয়াড়, মেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রদীপ মাহতো, গৌতম মাহাতোরা বলেন, ‘‘টুসু সংস্কৃতি যে হারিয়ে যেতে বসেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন লোক সংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে লোক সংস্কৃতি প্রসার প্রকল্প চালু হয়। তারপর থেকে লোক সংস্কৃতি চর্চায় ঝোঁক বেড়েছে গ্রামবাংলায়। যার ফল হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক মেলাগুলিতে এত বেশি সংখ্যায় দল যোগ দিচ্ছে।’’