তপন কান্দু হত্যা মামলায় অভিযোগ দায়ের করতে আবেদন সিবিআইয়ের। —ফাইল চিত্র।
পুরুলিয়া জেলা আদালত হয়ে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা হয় তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর। ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গেও কথা বলেন সিবিাই আধিকারিকরা। এর পর তপন যেখানে খুন হয়েছিলেন সেই জায়গাও পরিদর্শন করেন সিবিাই আধিকারিকরা।
পুরুলিয়া জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবি অরুণ মজুমদার জানিয়ে দেন, বুধবার এ নিয়ে সিবিআই একটি অভিযোগ করেছে তাই দ্বিতীয় বার অভিযোগ দায়ের করা যায় না। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উল্লেখ করে জানান যে, প্রয়োজনে পৃথক মামলা দায়ের করা যেতে পারে। এর পর শীর্ষ আদালতের সেই রায়ের কপি আদালতে জমা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুতে সঠিক তদন্তের দাবি করলেন দাদা নেপাল বৈষ্ণব
তপন কান্দু হত্যা মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য। হাই কোর্টের একক বেঞ্চ তপন হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। রজ্যের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন নিহত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা। তঁর বক্তব্য, ‘‘সরকার নিজে বাঁচার জন্যই বাধা দিচ্ছে। যখন সিবিআইয়ের দল তদনত শুর করেছে তখন বাধা দেওয়ার মানে কী? তা হলে তারা নিজেরা বাঁচার জন্যই বাধা দিচ্ছে। কারণ সিবিআই তদন্ত হলে বড় বড় মাথারা ধরা পড়বে। রামপুরহাটের সময় তো বাধা দেওয়া হল না? তাহলে আমার স্বামী কংগ্রেস করতেন বলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে?’’
ঝালদার তপন কান্দু হত্যা মামলায় নয়া মোড়। কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। ঘটনাচক্রে বুধবার রাতে ঝালদায় পৌঁছেছে সিবিআইয়ের একটি দল। ঝালদা থানার তরফে ওই মামলার নথিও হস্তান্তর করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। বৃহস্পতিবার ঝালদা থেকে বেরিয়ে পুরুলিয়ার শহরের দিকে রওনা দেয় সিবিআইয়ের দুটি দল। পুরুলিয়া পৌঁছে জেলা আদালতে তপন হত্যা মামলায় অভিযোগ দায়েরের জন্য অনুমতির আবেদন করেন তদন্তকারীরা। তবে ওই মামলায় নতুন করে জটিলতা দেখা দেওয়ায় দুপুর দু’টোয় সিবিআইয়ের আবেদন নিয়ে জেলা আদালতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।