CBI

CBI: সিবিআই-এর আপত্তি, জামিন খারিজ ধৃতদের

চলতি বছরের ১২ জুন কাঁকরতলা থানার নবসন গ্রামে বছর পঁচিশের ওই বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে, থেঁতলে খুনের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৩৫
Share:

সোমবার সিউড়ি আদালতে। নিজস্ব চিত্র

কাঁকরতলায় বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি খুনের অভিযোগে ধৃত পাঁচ জনের দু’জন আগেই জামিন পেয়েছেন। বাকিরাও আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, সিবিআই-এর আপত্তিতে খারিজ হয়ে গেল তিন জনের আবেদন। সোমবার সিউড়ি জেলা আদালতের ঘটনা।

Advertisement

অভিযুক্তদের পক্ষের দুই আইনজীবীর দাবি, ধৃতেরা জামিন পেলে তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে। আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী এমন যুক্তি দেওয়ায় ঘটনা ঘটে যাওয়ার ৮৪ দিন পরেও তাঁদের মক্কেলদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ শুভ্রজিৎ বসু।

চলতি বছরের ১২ জুন কাঁকরতলা থানার নবসন গ্রামে বছর পঁচিশের ওই বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে, থেঁতলে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রথম থেকেই তৃণমূল দাবি করে এসেছিল, গত বছরের ডিসেম্বরের পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক যুবকের পরিবারের আক্রোশে খুন হয়েছেন মিঠুন। একই দাবি ছিল পুলিশেরও। তবে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা হিসেবে বর্তমানে ওই মামলার তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।

Advertisement

গত ডিসেম্বরে নবসন গ্রামে মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় রাজু বাগদি নামে এক যুবকরের। মিঠুন বাগদি ইচ্ছাকৃত বাইকের ধাক্কায় খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েক মাস জেল খেটে জামিন পেয়ে ১২ জুন মিঠুন সপরিবার বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ, রাজুর স্ত্রী ও পরিজনরা তাঁর উপরে চড়াও হন ও মিঠুনকে পিটিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ দিকে, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত রাজুর স্ত্রী লক্ষ্মী, দাদা অনিল বাগদি, বৌদি প্রতিমা এবং দুই আত্মীয়া কল্পনা বাগদি, সুন্দরী বাগদিকে গ্রেফতার করে। শেষ দু’জন গত মাসের ৯ তারিখে জামিন পেয়েছেন। বাকিরা সিউড়ি সংশোধনাগারে থেকেই জেলা আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন। দুই মহিলার জন্য আইনজীবী ছিলেন শ্রীতমা মুখোপাধ্যায়। অনিলের আইনজীবী ছিলেন সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, তদন্ত ভার নেওয়ার পরে ২৮ অগস্ট শুধু গ্রামে গিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা নয়, সংশোধনাগারে বন্দি লক্ষ্মী সহ তিন জনকে সেখানে গিয়ে জেরা করেছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। গত বৃহস্পতিবারই লক্ষ্মী বাগদির ‘ফরেন্সিক সাইকোলজিক্যাল এগজামিনেশন’ করাতে চেয়ে দুবরাজপুর আদালতের অনুমতি পেয়েছে সিবিআই। সেটা এখনও হয়নি। কেস ডায়েরিও তদন্ত সংস্থার হাতে। তার মধ্যেই অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনে কী প্রতিক্রিয়া হয় সিবিআই-এর, এই নিয়ে প্রশ্ন ছিল।

সোমবার দুই আইনজীবী সহ জেলা আদালতে এসে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালতে তাঁরা জানান, তদন্ত এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নতুন তথ্য উঠে আসছে। এই অবস্থায় অভিযুক্তরা জামিন পেলে অসুবিধা হবে। অভিযুক্তদের পক্ষে সোমনাথ মুখোপাধ্যায়রা চেষ্টা করেছিলেন আদালতকে বোঝাতে জামিন পেলেও তদন্তের অসুবিধা হওয়ারা কথা নয়। বিচারক অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন গ্রাহ্য করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement