নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র ঘটনায় খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নেমে এ বার অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। সোমবার সকালে একটি ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানার ওসি দেবাশিস পণ্ডিতকে বেশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআইয়ের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পারুলডাঙার উত্তর নারায়ণপুরে গিয়েছিল।
বিগত দু’দিন ধরেই বীরভূম জেলায় রয়েছে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। হাই কোর্টে মানবাধিকার কমিশন ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই এই তদন্ত চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন উত্তর নারায়ণপুরের এক মহিলা। সোমবার শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই অভিযোগকারিণীর বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল।
পুলিশ সূত্রের দাবি, শান্তিনিকেতন থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি ওই মহিলা। বোলপুর সফরে আসা মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের কাছে সরাসরি ওই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কমিশনের রিপোর্টে অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মহম্মদ ওহেউদ্দিন ওরফে মামন, তৃণমূল নেতা পঞ্চানন খান, বীরভূম জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের। এ দিন সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন থানার ওসি-ও। তবে অভিযোগকারিণীর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে।
ইলামবাজারের গোপালনগরে গৌরব সরকার নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার তাঁর বাড়িতেও যান সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা।