বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে বেরোচ্ছেন লটারি বিক্রেতা মুন্না শেখ। —নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কি সত্যিই লটারির টিকিট কিনেছিলেন? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র প্রশ্নের জবাব দিলেন বোলপুরের সেই লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ। শুক্রবার বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন মুন্না। বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন ঘণ্টাখানেক।
সিবিআই ক্যাম্প থেকে বেরনোর পর মুন্নাকে লটারির টিকিট বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, তিনি লটারির টিকিট কাকে বিক্রি করেছিলেন? জবাব আসে, ‘‘সেটা আমার মনে নেই।’’ এর পর জানতে চাওয়া হয়, তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে লটারির টিকিট বিক্রি করেছিলেন কি না? এই প্রশ্নের জবাবে মুন্না বলেন, ‘‘না, আমি অনুব্রত মণ্ডলকে কোনও লটারির টিকিট বিক্রি করিনি।’’
সিবিআই মুন্নাকে কী প্রশ্ন করেছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। মুন্না বলেন, ‘‘লটারির টিকিট প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছে। আমি উত্তর দিয়েছি। আমি আপনাদের যা বললাম, সিবিআইকেও তা-ই বলেছি।’’
মুন্না বোলপুরের নাহিুনা গ্রামের বাসিন্দা। সেখানেই লটারির টিকিট বিক্রি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ নামে একটি দোকানে যায় সিবিআই। ওই দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। দোকানের মালিক শেখ আইনুলকে বলা হয়, কাগজপত্র নিয়ে সিবিআই ক্যাম্পে গিয়ে দেখা করতে। তিনি নির্দেশ মেনে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেও যান। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। তারই অনুসন্ধান চালাচ্ছে সিবিআই।