বাড়ি ফেরার জন্য তখনও উৎকণ্ঠায় শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র
পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে মাঝ রাস্তায় পরিয়ায়ী শ্রমিকদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাস চালকের বিরুদ্ধে। শেষে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেই শ্রমিকদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে বাড়ি পাঠাল। শুক্রবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ঘটনা।
মাস আটেক আগে বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা, হিড়বাঁধ, সিমলাপাল, সারেঙ্গা থানার বিভিন্ন গ্রামের ২৪ জন শ্রমিক তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে একটি মোটরবাইক কারখানায় বিভিন্ন কাজে গিয়েছিলেন। তাঁরা জানান, ‘লকডাউন’ শুরু হতেই কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়। আটকে থেকে জমানো টাকাও খরচ হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার জন্য সরকারি ভাবে আবেদন জানিয়েছিল তাঁরা।
শেষে বিষ্ণুপুর থেকে তাঁরা বাস ভাড়া করেন। সেই বাসেই তাঁরা শুক্রবার বিষ্ণুপুরে হাজির হন বলে জানান হাড়াকোনার বাসিন্দা সুমন অধিকারী, সুজিত মাঝি ও হিড়বাঁধের প্রশান্ত গড়াই।
কিন্তু রাজ্যের সীমানায় ঢোকার পর থেকেই তাঁদের একের পর এক দুর্ভোগে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। সিমলাপালের বাসিন্দা আশিস রানা নামের এক শ্রমিকের অভিযোগ, ‘‘একের পরে এক রাজ্যের মধ্যে দিয়ে আমাদের বাস এসেছে। কোথাও সমস্যা হয়নি। খাবারও পেয়েছি সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসনের কাছ থেকে। তবে নিজেদের রাজ্যে ঢোকার পরে প্রতিটি চেকপোস্টেই পুলিশের গালিগালাজ সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে নিজেদের জেলা বাঁকুড়া ঢুকতে গিয়েও গালিগালাজ করেছে পুলিশ। অনুমতি নেই বলে বাসের চালককে মারধরও করেছে এখনকার পুলিশ। তবে বিষ্ণুপুর মহকুমা পুলিশের সহায়তায় বাড়ি ফিরতে পারছি, এটাই আমাদের বড় পাওয়া।”
শ্রমিকেরা জানান, বিষ্ণুপুরে ঢোকার মুখে মিশ্রিশোল চেকপোস্টে বাসটি আটকে হেনস্থা করে পুলিশ। এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, ‘‘তামিলনাড়ু থেকে গড়বেতা পর্যন্ত নিয়ে আসার অনুমতি ছিল বাসের। তবে আমরা জানতে পেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের যত্ন করেই বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’’ তিনি জানান, তার আগে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বিষ্ণপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।