মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ব্রাত্য বসু!
এক নাম। পাড়ার লোক আর স্কুলের বন্ধুবান্ধবেরা তাকে মজা করে ‘শিক্ষামন্ত্রী’ বলেই ডাকে। দু’-এক জন শিক্ষকও আদর করে তাই বলেন। কিন্তু এই ‘শিক্ষামন্ত্রী’ ব্রাত্য বসুর রাজনীতিতে কোনও আগ্রহ নেই। বরং, আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চায় সে। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান পাওয়া ব্রাত্যের বাবা এবং মাও একই ইচ্ছার কথা জানালেন।
বাঁকুড়ার এই ব্রাত্যের ছোট থেকে পড়াশোনা বিষ্ণুপুর হাই স্কুলে। ক্লাসের পরীক্ষায় বরাবরই সপ্তম বা অষ্টম স্থানে থাকত তার নাম। তবে স্কুলে ক্লাসের সকল বন্ধুকে টপকে মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় ব্রাত্য জায়গা করে নেবে, তা অনেকেই ভাবেননি। ঘটনাচক্রে, মাধ্যমিকেও অষ্টমই হয়েছে সে। ব্রাত্য বলছে, ‘‘ভাল ফল হবে আশা করেছিলাম। ভেবে ছিলাম ৬৭৫ মতো পাব। কিন্তু এখন দেখছি, ৬৮৬ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছি। ভীষণ ভাল লাগছে।’’
আর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করলে ব্রাত্য বলেন, ‘‘নামের মিল থাকতে পারে। কিন্তু ও আমার চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী এবং গুণী ছাত্র। আমি তো কোনও দিন মাধ্যমিকে অষ্টম হওয়ার কথা ভাবতেই পারিনি!’’
সবাই ‘শিক্ষামন্ত্রী’ বলে ডাকলেও রাজনীতিতে আসতে চায় না ব্রাত্য। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনীতিতে আমার কোনও আগ্রহ নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসি। বিরাট কোহলীর ব্যাটিং দেখতে দারুণ লাগে।আমার প্রিয় বিষয় জীবন বিজ্ঞান। আমার কাকু ও কাকিমা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। আমিও চিকিৎসক হতে চাই।’’
ব্রাত্যের বাবা চণ্ডীদাস বসু প্রাক্তন সেনাকর্মী। বর্তমানে খড়গপুর আইআইটি-তে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। মা শীলা বসু বাড়িতেই থাকেন। চণ্ডীদাস বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগই নেই। আমরাও চাই ছেলে আগামী দিনে ডাক্তার হোক।’’