জেলা বইমেলার শেষ দিনে রামপুরহাটের একটি স্কুলের খুদেরা বই কিনতে হাজির। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
সিউড়ি, বোলপুরের চেয়ে রামপুরহাটে হওয়া বইমেলায় বিক্রি কম হতে পারে। এই আশঙ্কায় বইমেলায় স্টল বুক করেও ন’টি প্রকাশনা সংস্থা আসেনি। বই বিক্রি কেমন হয় তা নিয়ে চিন্তা ছিল বইমেলা কমিটিরও। শেষ পর্যন্ত সাত দিনের বইমেলায় দেখা গেল ৮০ লক্ষ টাকার উপর বই বিক্রি হয়েছে। বই বিক্রি বৃদ্ধিতে খুশি বইমেলায় আসা বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থাও। তবে মেলা নিয়ে আরও বেশি প্রচার হলে বই বিক্রি আরও বাড়ত বলে একাধিক প্রকাশনা সংস্থা জানিয়েছেন।
এ বারের ৪২ তম বীরভূম জেলা বইমেলা ৪ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি রামপুরহাট হাইস্কুল মাঠে শুরু হয়। মেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তথা বীরভূম জেলা গ্রন্থাগার কৃত্তক সমিতির সদস্য সুদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘৬১টি স্টলের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে নানা গ্রন্থাগার, স্কুল, কলেজ এবং বই কিনেছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬৭ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। শেষ দিনে তা আরও বেড়ে যায়।’’
বিক্রির এই অঙ্ক রামপুরহাটে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি বইমেলা কমিটির। গত বার সিউড়িতে জেলা বইমেলায় ১ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছিল। সিউড়ির থেকে কম হলেও রামপুরহাটে অন্য বছরের তুলনায় বেশি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি আয়োজকদের। শেষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী ৮৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। রামপুরহাটে বইমেলায় বই বিক্রির হার অনুযায়ী বইমেলা কমিটির প্রত্যাশা ছিল ৭০ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হবে। প্রত্যাশার থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি মেলা কমিটির। জেলা গ্রন্থাগার বিভাগের আধিকারিক সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘রামপুরহাটে বই বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে এটা ভাল। নতুন প্রজন্মের পাঠকরাও বইমেলায় ভিড় করেছেন। এটাও ভাল দিক।’’
রামপুরহাটে বই বিক্রিতে খুশি বেশ কিছু প্রকাশনী সংস্থাও। ওই সমস্ত প্রকাশনী সংস্থার কর্মচারীরা জানান, রামপুরহাটে এর আগে বইমেলায় বই বিক্রির পরিমাণ কম ছিল। তাই প্রকাশক সংস্থার একাংশের মধ্যে বিক্রি কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল। তবে গ্রামাঞ্চলে বইমেলা নিয়ে প্রচার কম বলেও অভিযোগও করেছেন প্রকাশকদের অনেকেই।