গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা(ইনসেটে)। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
মাটির তলায় হ্যান্ড গ্রেনেড এল কোথা থেকে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি ওন্দা পুলিশের। তারই মধ্যে শুক্রবার বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াড এসে পরীক্ষা করে জানিয়ে দিল, ওই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “গ্রেনেডটি কে, কী উদ্দেশে মাটির তলায় পুঁতেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডের লোকজন কী বলছেন, তা নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।”
বুধবার ওন্দার কমলা এলাকায় বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছিল। খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে মাটির প্রায় চার ফুট নীচ থেকে উদ্ধার হয় ওই বিস্ফোরক। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছিল, বিস্ফোরকটি হ্যান্ড গ্রেনেড। সেটি নিষ্ক্রিয় করতে শুক্রবার পুরুলিয়া থেকে বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডের কর্মীরা আসেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা গ্রেনেডটি পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁদের পক্ষে ওই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব নয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা। ওন্দা থানার পুলিশকে সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান গ্রেনেডটি তাজা রয়েছে। আপাতত থানা চত্বরে একটি ফাঁকা জায়গায় সেটি রাখা হয়েছে বলে পুলিশের একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে গেলে কী হবে, তা নিয়ে সংশয় পুরোমাত্রায় রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা।
এ দিকে গ্রেনেডটি মাটির তলায় কে, কী উদ্দেশে পুঁতেছিল তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। পুলিশ তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি বলেই তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।