সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের। — ফাইল ছবি।
সোমবার সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দু’দিন। আজও থমথমে বগটুই-সহ গোটা রামপুরহাট। বুধবারই হাসপাতাল থেকে লালনের দেহ নেওয়ার কথা পরিবারের। হবে তাঁর শেষকৃত্যও। পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশের এফআইআরে রয়েছে গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের নামও। নতুন করে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে, সেই আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
লালনের পরিবারের দাবি মেনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। মঙ্গলবারই তারা মামলাটির তদন্তভার আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণ করে। বুধবার সকালে রামপুরহাট থানা থেকে কেস ডায়েরি সংগ্রহ করে পুরোদস্তুর কাজে নেমে পড়ার কথা। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের পাশাপাশি যাওয়ার কথা লালনের গ্রামেও। মঙ্গলবার বিকেলে লালনের ময়নাতদন্তের সময়ও হাজির ছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। এ দিকে বুধবারই অকুস্থলে এসে পৌঁছনোর কথা সিবিআই আধিকারিক অজয় ভাটনাকরের। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, তিনি লালনের গ্রামেও যেতে পারেন। কথা বলতে পারেন লালনের পরিজনদের সঙ্গে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মেলেনি।
মঙ্গলবার বিকেলে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে লালনের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট নেয়নি তাঁর পরিবার। এমনকি লালনের দেহ নিতেও অস্বীকার করা হয়। ফলে লালনের দেহ ময়নাতদন্তের পরও পরে রয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই। এই প্রেক্ষিতেই খবর, বূধবার লালনের দেহ গ্রহণ করতে পারে পরিবার। সে দিনই করা হতে পারে তাঁর শেষকৃত্য।
এ দিকে বুধবার দিনভর লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভবিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে একাধিক সংগঠনের। সে জন্য প্রস্তুত পুলিশও। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বাহিনী। মঙ্গলবারই আদালতের নির্দেশে সিল করে দেওয়া লালনের বাড়ির তালা ভাঙা হয়। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গেই ভিতরে ঢোকেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু সিল হওয়া বাড়িতে প্রথম বার ঢুকেই হতবাক লালনের পরিবার। বাড়ি লন্ডভন্ড। পরিবারের দাবি, লুটপাটের চিহ্ন সর্বত্র। সিল করা বাড়িতে কী ভাবে লুটপাট চলল? তা নিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের সামনেই ক্ষোভ দেখান তাঁরা।
বুধবারও আন্দোলন, বিক্ষোভের আশঙ্কা করছে পুলিশ প্রশাসন। হতে পারে পথ অবরোধও। লালনের দেহ নেওয়ার সময় হাসপাতালেও যাতে কোনও ভাবেই বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে জন্য সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনেই তৈরি হয়েছে পুলিশেরও একটি ক্যাম্প।