পথে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডব থেকে বাঁচাতে পুরুলিয়ার ঝালদার তুলিন এলাকার একটি স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল মহারাষ্ট্র থেকে আসা কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে। তাঁদের অবিলম্বে স্কুল চত্বর থেকে সরানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া থেকে রাঁচী যাওয়ার মূল রাস্তা অবরোধ করলেন এলাকাবাসীর একাংশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে, পুলিশ তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়। তার পর অবরোধ ওঠে।
পুলিশ জানায়, আমপান আছড়ে পড়ার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বুধবার রাতে ওই এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তুলিনে ঢুকে পড়েছিলেন গাড়ি করে আসা কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় তুলিনের জয়সিয়ারাম উচ্চমাধ্যমিক স্কুল চত্বরে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ওই শ্রমিকদের স্কুলে মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। এরই প্রতিবাদে এ দিন পথে নামেন এলাকাবাসীর একাংশ।
সকালে তুলিনের হাটবাগান এলাকায় পুরুলিয়া-রাঁচী মূল রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। যার জেরে রাস্তার দু'দিকে বেশকিছু গাড়ি দাঁড়িয়ে পরে। কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে তুলিন ফাঁড়ি থেকে পুলিশকর্মীরা এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর অবরোধ উঠে যায়।
এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে গাড়ির যাতায়াত বন্ধ থাকায় ওই শ্রমিকদের স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। এলাকাবাসীর দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তুলিনের সন্তোষ চেল, দেবদাস গরাঁই, তরুণকান্তি পান্ডের মতো অনেক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, অবিলম্বে স্কুল থেকে ওই শ্রমিকদের সরাতে হবে।
কেন এমন দাবি? এলাকাবাসীর একাংশ জানান, ওই স্কুল চত্বরে থাকা নলকূপ থেকে অনেকেই পানীয় জল সংগ্রহ করেন। ‘রেড জোন’ মহারাষ্ট্র থেকে আসা শ্রমিকেরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন জেনে অনেকেই করোনা-সংক্রমণের আশঙ্কায় স্কুল চত্বরে জল আনতে যেতে পারছেন না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগ কেটে যাওয়ায় ওই শ্রমিকদের অবিলম্বে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
গ্রামবাসীর দাবি, শুধু স্কুল থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলেই হবে না। স্কুল চত্বরকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।