—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
২০২৫ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্নে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রের ‘জল জীবন মিশন (জেজেএম)’ আর রাজ্যের ‘জলস্বপ্ন’ এ কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু, জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বীরভূম। জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪২ শতাংশ কাজ হয়েছে। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আদৌ পালন কার যাবে কি না, তা নিয়ে ‘সংশয়ে’ আধিকারিকেরা।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে জলজীবন মিশন প্রকল্পে বীরভূমে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক হয়েছিল। ২০২০ সালে কাজ শুরু হলেও কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ খুব বেশি এগোয়নি। তার পরে চার বছর কেটে গিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে বলছে, এখনও পর্যন্ত জেলার ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়ে। বাকি অর্ধেকেরও বেশি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর, খয়রাশোল, রাজনগর, মহম্মদবাজার, রামপুরহাট ১, নলহাটি ১, মুরারই ১ ব্লকে জলস্তর নেমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তাই খয়রাশোল, দুবরাজপুরে অজয় নদের বালিস্তরের অল্প নীচ থেকে জল সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অভিযোগ, নানা ভাবে অতিরিক্ত বালি তোলার ফলে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। দফতরের তরফ থেকে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। নলহাটি, মুরারই, রামপুরহাট এলাকায় ব্রাহ্মণী, বাঁশলৈ ও ময়ূরাক্ষী নদীকে ব্যবহার করে জল সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা নির্বাহী আধিকারিক দেশবন্ধু হাজরা বলেন, ‘‘জেলাতে ৩৮৪টি প্রকল্পের মধ্যে ৪০টি প্রকল্পের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। এর মধ্যে জলাধার তৈরির প্রকল্পও আছে। কিছু প্রকল্পে বৈদ্যুতিক সংযোগের অভাবে জল পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। তবে কাজে গতি আনার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে দ্রুত সংযোগ দিতে বলা হয়েছে।’’