Jhalda

সভায় নেপালকে কটাক্ষ সাংসদের

এ দিনে সভায় ভিড় নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ঝালদা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:২৮
Share:

ঝালদা হাটতলা ময়দানে বিজেপির সভায়। ছবি: সুজিত মাহাতো।

নির্বাচনে বাঘমুণ্ডির কংগ্রেস বিধায়কের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে ঝালদা শহরের জনসভায় দাবি করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ঝালদায় নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মিছিল করেছিল বিজেপি। ছিলেন সাংসদ জ্যোতির্ময়বাবু এবং দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। মিছিলে তাঁদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সে ঘটনার বর্ষপূর্তিতে এ দিন ঝালদায় প্রতিবাদসভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেখানে জ্যোতির্ময়বাবু দাবি করেন, ‘‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার বিধায়কের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।”

Advertisement

এ প্রসঙ্গে বাঘমুণ্ডির বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতোর বক্তব্য, ‘‘কার, কোথায় জামানত বজেয়াপ্ত হবে, সেটা নির্বাচনের পরেই বোঝা যাবে।” গত বিধানসভা ভোটে বাঘমুণ্ডিতে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন জ্যোতির্ময়বাবু। সেই প্রসঙ্গ টেনে নেপালবাবুর কটাক্ষ, ‘‘গত বিধানসভায় এখানে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সে কথাই হয়তো তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে।”

বুধবার ঝালদার সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, দলের জেলা নেতা নরহরি মাহাতো, বিবেক রঙ্গা ও সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। বক্তৃতায় প্রথম থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন দিলীপবাবু। তৃণমূলের দখলে থাকা বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে মাত্রাছাড়া দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জঙ্গলমহলে অনুন্নয়নের অভিযোগও তোলেন।

Advertisement

তবে তৃণমূলের পুরুলিয়ার মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘বিজেপির দখলে থাকা বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও সমিতির নানা ঘটনাই প্রমাণ করে, কারা দুর্নীতিতে জড়িত। আগে বিজেপি নিজের ঘর সামলাক। তার পরে, আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করবে।”

এ দিনে সভায় ভিড় নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই সভায় ভিড়ের প্রসঙ্গ টেনে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমি এসেছিলাম, আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে। যে ভাবে আপনারা বিশাল সংখ্যায় উপস্থিত হয়েছেন, সেটা দেখে আমার মন ভরে গেছে।”

বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘শুধু বাঘমুণ্ডি বিধানসভা এলাকা থেকে কুড়ি হাজার কর্মী-সমর্থক সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন।”

তবে পুলিশের দাবি, বিজেপির সভায় হাজার চারেক লোক হয়েছিল। তৃণমূলের ঝালদা শহর সভাপতি দেবাশিস সেনের দাবি, ‘‘গোটা জেলা থেকে লোক এনেও ছোট মাঠ পুরো ভরাতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement