পুরুলিয়ায় এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে মিঠুন চক্রবর্তী। — নিজস্ব ছবি।
পুরুলিয়া দিয়ে শুরু, শেষ হবে বীরভূমের বোলপুরে। এই প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রাঢ়বঙ্গ সফরে বেরিয়েছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। টানা পাঁচ দিন ধরে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবেন তিনি। বুধবার ছিল এই সফরের প্রথম সভা, পুরুলিয়ায়। সেখানে জনসভা করার পাশাপাশি এক কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাওয়াও সারেন তিনি। সেখানে ছিল এলাহি আয়োজন।
মঙ্গলবারই কলকাতা পৌঁছে গিয়েছিলেন মিঠুন। বুধবার সকাল সকালই মিঠুন-সুকান্ত জুটির বেরিয়ে পড়ার কথা ছিল পুরুলিয়ার উদ্দেশে। কিন্তু রাজভবনে নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য সুকান্ত নিজের সফর বাতিল করেন। পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দেন মিঠুন।
বুধবার দুপুরে লধুড়কার সভা শেষ করে মিঠুনের গাড়ি রওনা দেয় জেলায় দলের সহ-সভাপতি ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে। সেখানেই মিঠুনদের জন্য রান্না করা হয়েছিল। ফাল্গুনীর বাড়িতে রীতিমতো পাত পেড়ে খেতে দেওয়া হয় ‘মহাগুরু’কে। খাদ্যরসিক মিঠুন সব কিছুই অল্প অল্প করে খেয়েছেন বলে দাবি ফাল্গুনীর। রান্নার ভূয়সী প্রশংসাও করেন। পাতে ছিল, সাদা ভাত, মুগের ডাল, আলু ভাজা, শাক ভাজা, বেগুন ভাজা, কাতলার কালিয়া, চারা পোনার ঝোল, পোলাও, ফ্রায়েড রাইস, পনিরের তরকারি, দই, পায়েস এবং মিষ্টি।
তৃপ্তি করে খাওয়ার পর মিঠুন ফাল্গুনীকে জিজ্ঞেস করেন, এত রান্না কে করল? ফাল্গুনী জবাব দেন, মিঠুন আসবেন শুনে বোনেদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর মা-ই সব করেছেন। শুনে তাঁদের সঙ্গেও দেখা করেন মিঠুন। ফাল্গুনীর মা’কে প্রণাম ও বোনেদের আশীর্বাদ করেন। ঘণ্টাখানেক ফাল্গুনীর বাড়িতে কাটানোর পর মিঠুন বেরিয়ে যান পুরুলিয়া শহরের দিকে।