Protest for Dearness Allowance

মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন, পথে নেমে পুলিশের ঘুসিতে মুখ ফাটল রাজ্য সরকারি কর্মীর!

কেন্দ্রের সমান মহার্ঘ ভাতা কবে পাওয়া যাবে? এই দাবিতে বুধবার পথে নামেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩০টি সংগঠন। আন্দোলন করতে নেমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০২
Share:

এক আন্দোলনকারীকে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভে সরগরম ধর্মতলা চত্বর। আন্দোলন করতে নেমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রক্তও ঝড়ল আন্দোলনকারীদের। পুলিশের বিরদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উপর কিল-চড়-ঘুসি চালানোর অভিযোগও আনা হয়েছে। ঘুষি মেরে কিছু আন্দোলনকারীর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

কেন্দ্রের সমান মহার্ঘ ভাতা কবে পাওয়া যাবে? এই দাবিতেই বুধবার পথে নামেন রাজ্য সরকারের বেতনভুক এবং পেনশনভুক্ত কর্মচারীদের ৩০টি সংগঠন। বিধানসভার মূল ফটকের কাছে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার তুলে সরব হওয়ার কর্মসূচি ছিল ওই বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আগে থেকেই ধর্মতলা চত্বরে মোতায়েন করা ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করে আকাশবানী ভবন থেকে বিধানসভার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আন্দোলনকারীদের আটকাতে তৎপর হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও। বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীদের সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশবাহিনীকে।

পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আন্দোলনকারীরা। নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা বিধানসভার মূল গেটে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানেও পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাধে। অভিযোগ, সরকারি কর্মচারীদের আটকাতে তাঁদের উপর বলপ্রয়োগ করে পুলিশ। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে বিক্ষোভকারীদের টেনে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। জামার কলার ধরে কিছু বিক্ষোভকারীকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন রাজ্য সরকারি কর্মচারী।

Advertisement

সরকারি কর্মীদের দাবি, তাঁরা ন্যায্য দাবিতে পথে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কথা না শুনে পুলিশ দিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কিছু আন্দোলনকারী রক্তাক্ত হন বলেও তাঁদের অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement