জেলা সভাপতির হাজিরার আগে কর্মীদের জমায়েত। অনেকেরই ছিল না মাস্ক। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
পুলিশ অফিসারকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে রামপুরহাট থানায় ডেকে পাঠিয়ে জেরা করল পুলিশ। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত জেরা-পর্ব চলে।
এ দিকে, শ্যামাপদ মণ্ডল রামপুরহাট থানায় হাজিরা দিতে আসছেন জেনে বিজেপি কর্মীরা রামপুরহাট ঢোকার মুখে মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ত্রিশটিরও বেশি গাড়ি এবং একশোরও বেশি মোটরবাইকের র্যালি করে দলের সভাপতিকে রামপুরহাট থানা পর্যন্ত নিয়ে যান। থানায় ঢোকার আগে শ্যামাপদ বলেন, ‘‘এর আগেও অনেক অভিযোগ হয়েছে। আদালতে জামিন নিয়েছি। কিন্তু, এই অভিযোগে দেখলাম পুলিশ নোটিশ দিয়ে থানায় ডেকেছে। আসলে বিজেপিকে রুখবার জন্য তৃণমূল পুলিশকে হাতিয়ার করেছে। পুলিশও নিত্যনতুন কায়দা বের করেছে।” ৪ সেপ্টেম্বর রামপুরহাটে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল নলহাটি থানার অফিসার-ইন-চার্জ দেবব্রত সিংহকে দেখে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, এমনই লিখিত অভিযোগ করেন রামপুরহাটের তৃণমূল কর্মী তোতা শেখ। ঘটনার ১০ দিন পরে রামপুরহাট থানার সুন্দিপুর গ্রামের তৃণমূল কর্মী তোতা শেখ ওই অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেই পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় শ্যামাপদর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সম্প্রতি নলহাটির এক সিভিক ভলান্টিয়ার বিজেপিতে যোগ দেন। সেই কারণে নলহাটি থানার অফিসার-ইন-চার্জ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, শ্যামাপদ মণ্ডল তার প্রতিবাদ করেন। ওই একই দিনে বিজেপি-র জেলা নেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তোতা শেখ। পুলিশ এর আগে মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দু’দিন থানায় জেরা করেছে। বর্তমানে এই মামলায় মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জামিনে আছেন।