‘অভিনন্দন যাত্রা’: হুড়ার মিছিলে নেতা-কর্মীরা। ছবি: সুজিত মাহাতো
নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোমবারই পুরুলিয়া শহরে তৃণমূলের মিছিলে হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরের দিন, মঙ্গলবার হুড়া ব্লকে ওই আইনকে সমর্থন করে মিছিল করল বিজেপি। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, এ দিনের মিছিল তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘‘সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পরের দিন থেকেই আমরা এই আইনকে সমর্থন জানিয়ে গোটা জেলা জুড়ে প্রতিটি মণ্ডলে মিছিল ও ছোট-ছোট সভা করছি। হুড়াতে এ দিন সেটাই হয়েছে।”
এ দিন হুড়ার মিছিলে শামিল হয়েছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো। ছিলেন জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগরবাবু, প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা প্রদেশ কমিটির সদস্য বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দাবি, প্রচুর মানুষ যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে। হুড়া থেকে মিছিল শুরু হয়। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জাতীয় সড়ক ধরে গিয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে লালপুর মোড়ে শেষ হয়েছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি আব্দুল আলিম আনসারির দাবি, এ দিন শুধু তাঁরা হুড়া ব্লকের কর্মী সমর্থকদের নিয়েই মিছিল করেছেন। তাতেই প্রায় ছ’হাজার কর্মী সমর্থক হয়েছিল। লালপুরে সভায় জ্যোর্তিময়বাবু বলেন, ‘‘এ দিনের পথসভা জনসভায় পরিণত হয়েছে।” তবে কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার দাবি, হুড়ায় বিজেপির মিছিলে মেরেকেটে দু’হাজার লোক হয়েছিল।
মিছিলের শেষে সভায় বিজেপি নেতৃত্ব নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূল মানুষজনকে ভুল বোঝাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। সাংসদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নতুন নাগরিকত্ব আইনটা ভাল করে না পড়েই বিরোধিতায় নেমে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।” অন্য দিকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাঁরা দলগত ভাবে প্রচারে নেমেছেন বলে জানাচ্ছেন বিদ্যাসাগরবাবু। তিনি জানান, পুরুলিয়াত বিজেপির সাংগঠনিক মণ্ডলের সংখ্যা ৪৮টি। তার মধ্যে ৪০টি মণ্ডলেই এই আইনের সমর্থনে সভা ও মিছিল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বুথ তীর্থ যাত্রা কর্মসূচি থেকে শুরু করে ছোট-ছোট সভায় এই আইন ঠিক কী, সেটা আমরা বাসিন্দাদের বোঝাচ্ছি।”
অন্য দিকে, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার মেজিয়ার বানজোড়ায় পথসভা করে বিজেপি। ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, বিজেপির বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক অজয় ঘটক, দলের মেজিয়া মণ্ডলের সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র প্রমুখ।