BJP

নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনায় অভিযুক্ত বিজেপি

শুক্রবার বোলপুর থানার কাঁকুটিয়া গ্রামে বছর দশের নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

  বোলপুর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৯
Share:

প্রতীকী চিত্র

নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে প্রকাশ্যে এনে মিছিল করানো ও মাইক বাজিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অভিযোগে জেলা সভাপতি সহ একাধিক বিজেপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ। পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘আদালতের একাধিক নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। যে যে নির্দেশ অমান্য হয়েছে, সেই সেই ধারা দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

শুক্রবার বোলপুর থানার কাঁকুটিয়া গ্রামে বছর দশের নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই আবহে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার দুপুরে বোলপুর থানা ঘেরাও করে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা।

অভিযোগ, রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে যে মিছিল করা হয়েছিল সেখানে ওই নির্যাতিতা এবং তার পরিবারকে আনা হয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়, সেখানেও নির্যাতিতার নাম ও ঠিকানা লেখা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, শিয়রে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকলেও শুক্রবারের মিছিলে বিজেপি কর্মীরা মাইক ব্যবহার করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার রাতেই বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল সহ ১৫০ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে পকসো আইন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এতে আইন তো বটেই, আদালতের নির্দেশও অমান্য করা হয়েছে। যে দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে, সেই দলের নেতারা যদি এ ভাবে আইনভঙ্গ করেন তা হলে কী বলার থাকতে পারে।’’

Advertisement

জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘আমরা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। যাতে দোষী ব্যক্তির শাস্তি হয়, সেই দাবিতে বোলপুর থানায় শান্তিপূর্ণ ভাবে স্মারকলিপিও দিতে গিয়েছিলাম। মিছিলে নির্যাতিতা ছিল না। স্মারকলিপিতেও নির্যাতিতার নাম, ঠিকানাও লেখা হয়নি।’’ জেলা সভাপতির অভিযোগ, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। তাই মিছিল নিয়ে কেউ কোনও প্রশ্ন তোলার আগেই পুলিশ নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। জেলা জুড়েই বিজেপি কর্মীদের নামে এমন মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এর হিসেব হবে।’’ পক্ষপাতের অভিযোগ মানেনি পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement