বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাচ্ছেন বিষ্ণুপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র
নাবালিকা বিয়েতে কিছুটা হলেও রাশ টানা গিয়েছে বলে দাবি করছে প্রশাসন। যদিও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার দাবি, যে ভাবে কিশোরী প্রসূতির সংখ্যা রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে নাবালিকা দম্পতির সচেতনতা বাড়াতে জোর দিয়েছে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা।
বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপাল দাস বৃহস্পতিবার বলেন, “আমাদের স্বাস্থ্যজেলায় মোট প্রসূতির ২৩ শতাংশই কিশোরী। এটা কমাতে হলে একমাত্র পথ কিশোরী দম্পত্তিকে বোঝানো।’’
তিনি জানান, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ছ’টি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সচেতনতা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা কিশোরী দম্পতিদের বাড়িতে গিয়ে এক একজনকে ‘দত্তক’ নিচ্ছেন। তাঁরা বিবাহিতা কিশোরীদের পরিবারে গিয়ে বোঝাবেন, ২০ বছর বয়সের আগে যেন তিনি মা না হন। কম বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁর স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকি হয়ে যাবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপাল দাস ইতিমধ্যে পাঁচটি পরিবারে গিয়ে প্রবীণদের বুঝিয়েছেন।
বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল বলেন, “কিশোরী মায়েদের অনেকেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। রক্তাল্পতা, শিশুর অপুষ্টি, শিশুর স্বাভাবিকের থেকে কম ওজন, মায়েদের কম রক্তচাপ, অনাক্রমতা হ্রাস ইত্যাদি নানা সমস্যার সম্মুখীন করতে পারে মা ও শিশুকে।”
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয়। তবে নজর এড়িয়ে কোথাও কোথাও নাবালিকাদের বিয়ে হয়েছে। আশা কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, অনেক সময় কিশোরীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছেন। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। তবে কন্যাশ্রী প্রকল্প নাবালিকাদের স্কুলমুখী
রাখতে সাহায্য করছে।