ফাইল চিত্র।
বীরভূমের ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলার অনুমতি দিল জেলা প্রশাসন। তবে এ বার মেলা হবে দু-দিন। দোকানপাট সে ভাবে না বসলেও, থাকছে বাউল, কীর্তনিয়াদের আখড়া।
জেলার বৃহৎ এবং ঐতিহ্যবাহী মেলা দু’টি হল পৌষ মেলা এবং জয়দেবের মেলা। করোনার জেরে এ বছর পৌষ মেলা হয়নি। জয়দেবের মেলা নিয়েও ছিল বিস্তর সংশয়। শেষমেশ তাতে ছাড় দিল প্রশাসন। তার ফলে এ বারও বাউল কীর্তনিয়ার স্বাদ পেতে চলেছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার কেন্দুলি গ্রামপঞ্চায়েতে এই মেলা নিয়ে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন ও মেলা কমিটি৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, করোনা বিধি মেনে মেলা অনুষ্ঠিত হবে দু’দিনের জন্য। মেলায় এ বার থাকছে ১৫২টি বাউল কীর্তনিয়াদের আখড়া। তবে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টল ছাড়া অন্য কোনও দোকান বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই বৈঠকে।
বৈঠকে পুলিশ সুপার বলেন, “আজ বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তা আগামী দিনে পর্যালোচনা করা হতে পারে৷ আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, অন্য কোনও দোকানপাট বসবে না। তবে ১৫২টি আখড়া বসবে। পাশাপাশি, প্রত্যেক বছর নিরাপত্তার জন্য যে পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকে, এ বারও তা থাকবে। চেক পোস্ট, ওয়াচ টাওয়ার সবই বসানো হবে।
অন্যদিকে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যা যা নিয়ম মেনে মেলা করা সম্ভব সে ভাবেই দু’দিনের মেলা করা হবে। মেলা কমিটি এবং প্রশাসন সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রনাথ।