নানুরে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে কেষ্ট হাজির ছবিতে। — নিজস্ব চিত্র।
শেষ কবে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি গরহাজির তা মনে করতে পারছেন না দলীয় সতীর্থরাও। ইদানীং কালে এই প্রথম তৃণমূলের জন্মদিন পালিত হল, কিন্তু বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, দলের লোকজনের কেষ্টদা নেই। তিনি আসানসোল জেলে। তা বলে তো প্রতিষ্ঠা দিবসের উৎসব বন্ধ হতে পারে না। বীরভূমের নানুরে তৃণমূলের জন্মদিন পালিত হল অনুব্রতের ছবিকে সামনে রেখে। কেষ্টগীত গেয়ে।
নানুরের বাসাপাড়া মিলন মেলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগ ও থুপসারা, জলুন্দি, এন কড্ডা অঞ্চলের তৃণমূলের ব্যবস্থাপনায় রক্তদান শিবিরের মধ্য দিয়ে সূচনা হল সপ্তম বর্ষের মেলার। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। অন্যান্য বছরগুলোতে এই মেলা তথা অনুষ্ঠানের মুখ্য আকর্ষণ ছিলেন অনুব্রত। কিন্তু বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। কিন্তু তাঁর অভাব বুঝতে দিলেন না দলের নেতারা। মঞ্চের ঠিক পিছনে বড় ফ্লেক্সে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের বিশাল ছবি। মঞ্চে গমগমিয়ে বাজল কেষ্টগীত। গানের কথায় উঠে এসেছে অনুব্রতের গরহাজির থাকার কথা।
অনুষ্ঠানের মুখ্য উদ্যোক্তা তথা বীরভূমের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের গলাতেও ‘কেষ্টদা’র না থাকার কথা। তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের শূন্যস্থান কেউ পূরণ করতে পারবে না।’’ গত বছর এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে অনুব্রতের হাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রুপোর মূর্তি তুলে দিয়েছিল মিলন মেলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়েছিল। কিন্তু এ বছর সেই অনুব্রতই জেলে। যদিও অনুষ্ঠান জুড়ে কেষ্টদা রইলেন বহাল তবিয়তেই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, নানুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, নানুরের তৃণমূল নেতা গদাধর হাজরা প্রমুখ।