Mamata Birbhum Visit

মমতা আসছেন, ধরে নিয়ে প্রস্তুতি প্রশাসন ও দলের

দ্বিতীয় বৈঠকটি এ দিন সন্ধ্যায় সার্কিট হাউসে হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২১
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর সাম্ভাব্য সফরের প্রস্তুতি। রং হচ্ছে সিউড়ির সার্কিট হাউস। নিজস্ব চিত্র।

জেলা সফরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে সিউড়ির চাঁদমারি মাঠে প্রশাসনিক সভা এবং পরিষেবা প্রদানের কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীর। তবে কবে এবং ক’দিনের জন্য তিনি জেলা সফরে আসছেন, তা নিয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি৷

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা প্রশাসন। চুপ জেলা তৃণমূলও। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা যদিও বলেন, ‘‘আমরা ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি, এই তিনটি দিন ধরে এগোচ্ছি। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে।’’ চলতি মাসে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর নিয়ে কয়েক দিন ধরে জল্পনা চলছিল জেলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের অন্দরে। মঙ্গলবার সেই জল্পনা আরও বেড়েছে দু’টি বৈঠককে কেন্দ্র করে। প্রথম বৈঠক এ দিন দুপুরে জেলা প্রশাসন ভবনে। জেলার সব থানার আইসি, ওসি, সব বিডিও এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে সেখানে বৈঠক করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।

দ্বিতীয় বৈঠকটি এ দিন সন্ধ্যায় সার্কিট হাউসে হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। বিকাশ বলেন, “নতুন জেলাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাতের তেমন সুযোগ হয়নি। তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্দেশ্যেই এই বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে আসার ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।” তবে মুখ্যমন্ত্রী এলে কর্মসূচি যে সিউড়িতেই হবে, তা জানিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।

Advertisement

নেতারা মানতে না চাইলেও জেলা প্রশাসন এবং জেলা তৃণমূলের অভ্যন্তরে তোড়জোড় অন্য কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরকে মাথায় রেখে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে সিউড়ির সার্কিট হাউস এবং জেলা পুলিশ অতিথিশালা। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, ১৯ তারিখ চাঁদমারি মাঠের হেলিপ্যাডে নেমে, সেখানে প্রশাসনিক সভা করে আবার সেখান থেকেই হেলিকপ্টারে ফিরেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, রাত্রিবাসের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হচ্ছে থাকার জায়গাও।

এ দিন প্যান্ডেল তৈরি করার কর্মীরা চাঁদমারি মাঠের পরিস্থিতিও দেখে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ১৯টি ব্লক থেকেই যাতে সাধারণ মানুষ প্রশাসনিক সভায় ঠিকমতো পৌঁছতে পারেন, তার সমস্ত ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে শহরের কোথায় কতগুলি অস্থায়ী তোরণ, ব্যানার, ফ্লেক্স লাগানো হবে এবং কী ভাবে প্রচার করা হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য এ দিন সন্ধ্যাতেই সিউড়ির দলীয় কার্যালয়ে শহর তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement