সংগৃহীত চিত্র।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে গত ৫ সেপ্টেম্বর উত্তর কলকাতায় সারদাপ্রসাদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত হয়েছিল শিক্ষক সম্মেলন। শিক্ষকরাই গড়তে পারেন আগামী দিনের শিক্ষিত সমাজ— সবিস্তার আলোচনায় তা তুলে ধরেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা। সেই সঙ্গেই উঠে এসেছে শিক্ষক নিয়োগ থেকে দুর্নীতির প্রসঙ্গও। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অব এডুকেশনাল অ্যাসোসিয়েশনসের উদ্যোগে এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে শিক্ষক নেতা-সহ শিক্ষা জগতের বিশিষ্টরা যোগ দেন।
১৯২৫ সালে এই সংগঠনের জন্ম। আগামী বছর, ২০২৫ সালে তার ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তার আগে এ রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবেই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে। এ বছরের সম্মেলনে যে বিষয়টি আলোচ্য ছিল, তা হল শিক্ষার রূপান্তর ও পরিবর্তনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকাই প্রধান।
কলকাতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শামিল হন বিশ্বভারতী ও বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্বপন দত্ত। তাঁর মতে, “শিক্ষকদের বেতন থেকে পরিকাঠামো যদি ঠিকঠাক দেওয়া হয়, তা হলে শিক্ষার পরিবর্তনে মূল ভূমিকা থাকবে শিক্ষকদেরই। বেসরকারিকরণ এবং রাজনীতি প্রবেশ করলে তা ধ্বংস হবে।”
শিক্ষক নিয়োগ থেকে দুর্নীতির প্রসঙ্গে, সবই এই আলোচনায় উঠে এসেছে। প্রাক্তন সাংসদ অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সঠিক ভাবে নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে অন্ধকার নেমে আসছে। গ্রামবাংলার অসংখ্য স্কুলে শিক্ষক-অপ্রতুলতাও দেখা দিয়েছে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টদের তালিকায় এ ছাড়াও ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী-সহ অনেকেই।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, “আমাদের মূল বিষয় হল সারা ভারতে শিক্ষকদের ভূমিকার প্রসার। পশ্চিমবঙ্গের পরে এ বছরের ডিসেম্বরে পটনাতে হবে পরবর্তী সম্মেলন।”