বাঁকুড়ায় বিমান বসু। নিজস্ব চিত্র।
চাষিরা যাতে ধানের সহায়ক মূল্য পান, সে জন্য দিল্লির মতো এ রাজ্যেও আন্দোলন গড়ে তুলতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিলেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার কমরারমাঠে প্রয়াত তিন বাম নেতা সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নকুল মাহাতো ও হিরালাল পালের স্মরণে আয়োজিত সভায় যোগ দেন বিমানবাবু।
সেখানে তিনি বলেন, “পঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকদের কুর্নিশ জানান। কী ভাবে আন্দোলন করতে হয়, ওঁরা দেখিয়েছেন। এ রাজ্যেও চাষিরা ধানের সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন না। কিছু দিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে ধানের সহায়ক মূল্যের দাবিতে ব্লক অফিস ঘেরাও করেছিলেন চাষিরা। আন্দোলনের চাপে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে ও চালকল মালিকেরা সরকারি মূল্যে ধান কিনতে বাধ্য হয়। বাঁকুড়ায় কি এমন আন্দোলন হতে পারে না?”
সেই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, “আমার কাছে খবর আছে, দলের নিচুতলার কর্মীরা মনপ্রাণ দিয়ে লড়াই করলেও উচু স্তরের কিছু নেতা ভাল করে কাজ করছেন না। নিজেরা ভেবে দেখবেন, ঠিক বলছি কি না।”
যদিও বিমানবাবুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, “বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ধরে এ রাজ্যের চাষিদের সর্বনাশ করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই চাষিরা এখন লাভের মুখ দেখছেন। কোথাও সহায়ক মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ ওঠেনি।”
পাশাপাশি, এ দিন সভা শুরুর আগে বাম-কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিমানবাবু বলেন, “কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতির মৃত্যুর পরে জোটের কাজে কিছু বিলম্ব হচ্ছে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম মাস নাগাদ আসন সমঝোতার কাজ শেষ করে নির্বাচনী সভা শুরু করতে পারব বলে মনে হচ্ছে।”
তৃণমূলের বেশ কিছু বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন। এর পরে বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন কি না, সে প্রশ্নের জবাবে বিমানবাবু বলেন, “দু’দিনের বিধানসভা অধিবেশন হলে অনাস্থা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। তবে সময় পেলে অনাস্থা আনা হবে।”