খাতড়ার চন্দনা গ্রামে প্রকল্পের সূচনায় বাঁকুড়ার ডিএম। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’-এ কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের গতি বাড়ানোর দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতকে তাদের এলাকার কমপক্ষে ২০০টি পরিবারকে একশো দিনের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিল। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্মদিশা’। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করা ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পেরও এ দিন আনুষ্ঠানিক সূচনা হল বাঁকুড়ায়।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “লকডাউনে কাজ হারানো মানুষজনকে কাজ দেওয়াই ‘কর্মদিশা’র লক্ষ্য। লক্ষাধিক মানুষ এ দিন ওই প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন। বৃক্ষরোপণের জন্য গর্ত খনন, ‘জল ধরো-জল ভরো’র জন্য হাপা খনন, নালা খননের মতো প্রচুর কাজ এ দিন শুরু হয়েছে।”
একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জেলা আধিকারিক জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এ দিন কয়েক হাজার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। করোনা-সংক্রমণ এড়াতে নিজেদের মধ্যে নিরাপদ পারস্পরিক দুরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের কাজ করানো হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই কাজগুলি চলবে। মানুষ নিয়মিত কাজ পাবেন।”
এ দিকে, অনুর্বর জমিকে উর্বর করে চাষের কাজে লাগানোর জন্য রাজ্য সরকার ‘মাটির সৃষ্টি’ নামে যে প্রকল্প নিয়েছে, তার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় জেলায়। রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল, হিড়বাঁধ ও ইঁদপুর ব্লকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু রানিবাঁধ ব্লকে, জেলা পরিষদের ‘মেন্টর’ অরূপ চক্রবর্তী তালড্যাংরা ও সিমলাপাল ব্লকে, জেলাশাসক এবং বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় খাতড়া ব্লকে ওই প্রকল্পের সূচনা করেন।
অরূপবাবু বলেন, “অনুর্বর জমিকে চাষযোগ্য বানিয়ে মানুষের আয়ের ব্যবস্থা করাই মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এ দিন চিহ্নিত জমিগুলিতে বৃক্ষরোপণের জন্য গর্ত খনন ও জমি সমান করার কাজের মাধ্যমে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের সূচনা হয়।”