বাঁকুড়া সংশোধনাগারে সিআইডির দল। —নিজস্ব চিত্র
শিশু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল কী ভাবে? কী ভাবে হত লেনদেন? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর পেতে রবিবার বাঁকুড়া সংশোধনাগারে গিয়ে শিশুদের মা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিআইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া-সহ মূল তিন অভিযুক্তকে জেরা করে যে সব তথ্য মিলেছে তা কতটা সত্য তাও পরখ করে নেওয়া হয়।
তদন্তের স্বার্থে জেল হেফাজতে থাকা ছ’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে শনিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। রবিবার সিআইডি-র পাঁচ সদস্যের একটি দল বাঁকুড়া সংশোধনাগারে হাজির হয়। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশুর মা রিয়া বাদ্যকরকে। রিয়ার সঙ্গে রাজোরিয়ার যোগাযোগ কী ভাবে গড়ে উঠল তা জানতে চাওয়া হয়। এর পাশাপাশি, শিশু বিক্রি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টাকাপয়সা সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার দিন মোট পাঁচটি শিশু উদ্ধার করা হয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি শিশু ছিল রিয়ার কাছে। সেই দু’টিও বিক্রির ছক কষা হয়েছিল কি না তাও রিয়ার কাছে জানতে চান সিআইডি আধিকারিকরা।
জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছাড়াও, সেখানকার শিক্ষিকা সুষমা শর্মার স্বামী সতীশ ঠাকুর এবং চায়ের দোকানদার স্বপন দত্তকে জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তা কতটা ঠিক তা এ দিন রিয়াকে জেরা করে যাচাই করে নেওয়া হয়। রিয়া ছাড়া আরও পাঁচ অভিযুক্তকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। শিশু পাচারচক্রের জাল অন্যত্র ছড়িয়ে রয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে মূল তিন অভিযুক্তের মোবাইলের কল রেকর্ডস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে পারেন।