পুরুলিয়ায় বিক্ষোভ এবং অবরোধে আটকে পর্যটকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে এ পর্যন্ত শাসকদল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিরোধীরা। এ বার উল্টো ছবি দেখা গেল পুরুলিয়ায়। আবাস যোজনায় দুর্নীতি অভিযোগে বাঘমুন্ডিতে কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পথ অবরোধ, মিছিলে আটকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়লেন পর্যটকেরা।
শুক্রবার পুরুলিয়ার একাধিক পঞ্চায়েতে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিতেরা। বাঘমুন্ডি ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত বুড়দা কালীমাটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও তালা লাগিয়ে পথ অবরোধে শামিল হন স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। ওই ব্লকের মাঠা গ্রাম পঞ্চায়েতেও ভবনের দরজাতেও তালা লাগিয়ে বাঘমুন্ডি-বলরামপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে এই অবরোধের কারণে সড়কে প্রচুর যানবাহন আটকে পড়ে। অযোধ্যা পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা আটকে পড়েন রাস্তায়।
দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধ চলার পরও ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়নি বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন অবরোধে আটকে মানুষজন। এ নিয়ে বাঘমুন্ডি ব্লকের বিডিও দেবরাজ ঘোষ বলেন, ‘‘ওঁদের (বিক্ষোভকারী) কিছু ক্ষোভ রয়েছে। সেগুলি লিখিত আকারে দিতে বলেছি। এই অবরোধে প্রচুর পর্যটক আটকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ অসুস্থ এবং বয়স্ক থাকতে পারেন। তাই অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।’’ যদিও এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অন্য দিকে, ঝালদা-১ ব্লকেরই উদয়সীরু গ্রামেও পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়ক পথ। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে যানবাহন। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে ঝালদা-১ ব্লকের বিডিও রাজকুমার বিশ্বাসকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
পুরুলিয়া পুলিশ সূত্রে খবর, আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভের জেরে পুরুলিয়া জেলায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে বাঘমুন্ডিতে পথ অবরোধের জন্য মোট ৯ জন এবং পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আটকে রাখার ঘটনায় পুলিশ 8 জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভের জেরে বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি দেখছে।’’