দ্বারকার ভাঙা সেতু দ্রুত সারানোর আশ্বাস

বৃহস্পতিবার দ্বারকা নদের ভাঙা সেতু সরেজমিন ঘুরে দেখলেন জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান, বিডিও (মহম্মদবাজার) আশিস মণ্ডল, ওসি মহম্মদ আলি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাহারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৩
Share:

পরিদর্শন: সেতুর পরিস্থিতি দেখতে আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: পাপাই বাগদি

টানা বৃষ্টিতে প্রায় এক মাস আগে মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়া থেকে সেকেড্ডা যাওয়ার রাস্তায় দ্বারকা নদের উপরে থাকা ভাসা সেতুর (কজওয়ে) কিছুটা অংশ ডেউচা জলাধার থেকে ছাড়া জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল। সেই থেকেই ওই সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ। ফলে,বর্তমানে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার বেশি ঘুরে এলাকার মানুষকে মহম্মদবাজার সদরে আসতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দ্বারকা নদের ভাঙা সেতু সরেজমিন ঘুরে দেখলেন জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান, বিডিও (মহম্মদবাজার) আশিস মণ্ডল, ওসি মহম্মদ আলি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাহারা। কতটা অংশ ভেঙেছে তা দেখার পরে সংস্কার করার জন্য কী কী করতে হবে, সেই বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। এলাকার মানুষকে তাঁরা আশ্বস্ত করেন, খুব তাড়াতাড়ি এই সেতু সংস্কার করে দেওয়া হবে।
পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, ‘‘আমরা এর আগেও এসে দেখে গেছি। সেতু মেরামতের জন্য জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডারও পাশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় জলের স্রোত খুব বেশি থাকায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে সেই টেন্ডার বাতিল করেছি। এখন নদীতে জল কমেছে। আমরা আবার নতুন করে টেন্ডার ডাকছি।’’ তিনি জানান, এই সেতুটি সংস্কার করতে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তাই ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে সেতুর ভাঙা অংশ সরেজমিন দেখতে গেলেন।
সেকেড্ডা গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন শেখ, শুভেন্দু মণ্ডল জানান, দ্বারকার এই কজওয়ে ভেঙে যাওয়ায় বিশাল সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে নদীর দুই পারের মানুষকেই। এ ছাড়াও সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ, এই রাস্তা দিয়ে খুব সহজেই প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষজন সিউড়ি ও সাঁইথিয়া যাওয়ার জন্য আঙ্গারগড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরেন। কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন মহম্মদবাজারে যাতায়াত করেন।নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘‘এখন কুড়ি কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাতে খরচও অনেক বেশি হচ্ছে। সমস্যায় পড়তে হয়েছে এলাকার চাষিদেরও। কারণ, অনেকের চাষজমি দুই পারেই রয়েছে।’’
এ ছাড়াও, সপ্তাহে দুদিন সেকেড্ডা হাটতলায় আনাজ বাজার বসে। সেখানেও গ্রামের মানুষ যেতে পারছেন না। ফলে পর্যাপ্ত আনাজ পাওয়ায়ই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার অনেকে। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘এই কজওয়ে দ্রুত সংস্কার হলে দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি পাবে দুই পারের মানুষজন।’’
আব্দুল কেরিম খান জানান, নদীর গতিপথ সেতুর দিকে না গিয়ে এক পাশে ঘুরে গিয়েছে। ফলে নদীর কিনারা থেকে সেতুর এক দিকের অংশ বারবার ভেঙে পড়ছে। সেই জন্য প্রথমেই নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে সেতুর মধ্য দিয়ে জল যাওয়ার করার ব্যবস্থা করে তার পরে সেতু সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement