Theft

Theft: সেনাকর্মীর বাড়িতে চুরি

সোমবার রাতে ফের সেনাকর্মীর বাড়িতে চুরির ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২১ ০৭:২২
Share:

চুরির পরে। নিজস্ব চিত্র।

এ বার এক সেনাকর্মীর বাড়িতে চুরি হল বোলপুর শহরে। পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারিপট্টি এলাকার ওই বাড়ির দরজার তালা ও আলমারির লকার ভেঙে গয়না সহ নগদ টাকা চুরি যায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ঘটনাটি জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাছারিপট্টি এলাকার বাসিন্দা সজল গড়াই বর্তমানে আইটিবিপি ফোর্স কর্মরত। কর্মসূত্রে দিল্লি থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সজলবাবুর স্ত্রী সুবর্ণাদেবী ছেলেকে নিয়ে সেখানে যান। সেই ফাঁকে চুরি বলে দাবি। জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বিষয়টি নজরে আসে প্রতিবেশীদের। তাঁরাই ফোনে সজলবাবুর পাশাপাশি পুলিশকে ঘটনার কথা জানান। মঙ্গলবার ঘটনা তদন্তে বাড়িতে আসে পুলিশ। প্রতিবেশী রিঙ্কু পাসওয়ান বলেন, “বাড়িতে থাকা দরজার তালা ও আলমারি ভেঙে চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। তবে ঠিক কী কী চুরি গিয়েছে বলতে পারব না। তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশ চুরির কিনারা করুক এটাই চাই।”

প্রতিবেশীর থেকে ফোনে চুরির কথা জেনেছেন সজলবাবু। বলছেন, “সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুবাদে সব সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। আমাদের বাড়িতেই যদি চুরি হয় তাহলে কী ভাবে মনোযোগ দিয়ে কাজ করব। অবিলম্বে ওই সমস্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হোক।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, পর পর চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে শহরবাসীর। ২৭ জুলাই রাতে বোলপুর-শ্রীনিকেতন রোডের উপরে একটি এটিএমে চুরির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলে পুলিশ। ৩১ জুলাই শান্তিনিকেতন এলাকায় থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে এক দম্পতির থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালায় দুই দুষ্কৃতী। ঘটনায় দু’জন ধরা পড়লেও এখনও টাকা উদ্ধার হয়নি। ওই রাতেই বোলপুর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর পল্লি এলাকায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পুরসভার অস্থায়ী কর্মী শ্যামাপ্রসাদ বাগদির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। একইভাবে ৫ অগস্ট বাড়ি ফাঁকা রাখার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চুরির ঘটনা ঘটে ইলামবাজারের বারুইপুরে গ্রামে।

সোমবার রাতে ফের সেনাকর্মীর বাড়িতে চুরির ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, সমস্ত ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement