Jiban Krishna Saha

বাবাকেও ঠকান জীবনকৃষ্ণ! ছেলে গ্রেফতার হতেই আদালতে যাওয়ার ‘সাহস’ দেখাচ্ছেন ‘ভিতু’ বাবা

বিধায়ক ছেলেকে নিয়ে এতটাই তিতিবিরক্ত যে বাবা বিশ্বনাথ সাহার মন্তব্য, ‘‘ওর গ্রেফতারের কথা শুনে আমার কিছু মনে হয়নি। আমার মনে কোনও দুঃখ নেই। ও আমার ক্ষতি করেছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৯
Share:

জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে তাঁর বাবা বিশ্বনাথ সাহা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ছেলের কোনও সম্পর্ক নেই। —নিজস্ব চিত্র।

ছেলে বিধায়ক। সমাজে প্রভাবশালী। এতটাই তাঁর প্রভাব যে ছেলেকে ভয় পেতেন স্বয়ং বাবা। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হতেই একের পর এক অভিযোগ উগরে দিচ্ছেন তাঁর বাবা বিশ্বনাথ। সোমবার মুর্শিদাবাদের আন্দির যে বাড়িতে জীবনকৃষ্ণ থাকতেন, সেটি তাঁর বলে দাবি করেছেন বিশ্বনাথ। এমনকি তাঁর এ-ও অভিযোগ, নিজের বাড়িতেই ছেলের ভয়ে যেতে পারতেন না। জীবনের ক্ষমতার ভয়ে তটস্থ থাকতে হত।

Advertisement

সোমবার সকালে যে বাড়ি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকে গ্রেফতার করে সিবিআই, সেই বাড়ি তাঁর বলে দাবি করেছেন বিশ্বনাথ। পেশায় ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ থাকেন বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। ব্যবসার জন্য সপ্তাহান্তে মুর্শিদাবাদে যেতেন। তাই আন্দিতে একটি বাড়ি করেছিলেন। কিন্তু ছেলে তা দখল করে নেন বলে বৃদ্ধের অভিযোগ। এ নিয়ে কেন আইনের দ্বারস্থ হননি? বিরক্তির সুরে বিশ্বনাথের জবাব, ‘‘কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মরব নাকি! পাওয়ারে (ক্ষমতায়) আছে (ছেলে)।’’ একটু থেমে ধৃত বিধায়কের বাবা আরও বলেন, ‘‘তবে এ বার হব (আইনের দ্বারস্থ)।’’

জীবনকৃষ্ণের বাবার একটি চালকল রয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার তালতলা এলাকায়। চালকলের নাম নন্দকিশোরী রাইস মিল। জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে বাবা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ছেলের কোনও সম্পর্ক নেই। ছেলেকে নিয়ে তিনি এতটাই তিতিবিরক্ত যে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওর গ্রেফতারের কথা শুনে আমার কিছু মনে হয়নি। আমার মনে কোনও দুঃখ নেই। ও আমার ক্ষতি করেছে।’’ বৃদ্ধের অভিযোগ, যে বাড়িতে এখন তিনি থাকেন, সেই বাড়ির রান্নাঘরটিকেও জোর করে অফিসঘর করেছেন ছেলে। বিধায়ক ছেলে তাঁকে হুমকি দিতেন। তাঁর কথায়, ‘‘এমনকি ৭ দিন আগেও আমাকে খারাপ কথা বলেছে ও (জীবনকৃষ্ণ)। এত ঝামেলা কি সহ্য করতে পারি? আমি একটা বাড়ি কিনেছিলাম। এত অত্যাচার করল যে বিক্রি করে দিতে হল। এমনই মানসিক অত্যাচার করত।’’

Advertisement

তৃণমূল বিধায়কের বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে তাঁর বাবা বলেন, ‘‘ও কোথায় কী কিনেছে, আমরা তো জানি না। এখন শুনছি এবং অবাক হচ্ছি। যা করেছে ও করেছে, আমাদের ও সবের দায় নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement