Arjun Munda: শিকারি-কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতি করছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২২ ০৯:০৯
Share:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। রবিবার বাঘমুণ্ডির রবিডি গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

চোলাই তৈরির অভিযোগে ধৃত পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বছর ছাব্বিশের যুবক শিকারি মুড়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

Advertisement

রবিবার বাঘমুণ্ডির রবিডি গ্রামে শিকারির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার ‘নিরপেক্ষ’ তদন্ত, দোষীদের শাস্তি, ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা এবং পরিবারের এক জনকে স্থায়ী চাকুরির দাবি জানান কেন্দ্রের উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। এর পরেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতি করছে বিজেপি।

এ দিন বিকেলে শিকারির বাড়ি যান অর্জুন। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, মালদহের হাবিবপুরের বিধায়ক তথা দলের তফসিলি জাতি-উপজাতি সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জুয়েল মুর্মু, দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু, পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা, প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী প্রমুখ।

Advertisement

শিকারির মা ভাদু মুড়ার সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন অর্জুন। তাঁর কাছে ভাদু অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের পাশাপাশি, দোষীদের শাস্তির দাবি তোলেন মৃতের মা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে মৃতের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। অর্জুন বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি রাজ্য সরকারের কাছে। এ ছাড়া, ওই পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা এবং এক জনের স্থায়ী চাকরির দাবিও জানাচ্ছি।’’ ভাদুর দাবি, ‘‘ছেলে আর ফিরে আসবে না। কিন্তু যারা তাকে পিটিয়ে মারল, তাদের যেন শাস্তি হয়। এটাই মন্ত্রীকে জানিয়েছি।’’

মন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। ওই ঘটনায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আমরাও চাই, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।’’ মৃতের পরিবারের এক জনের চাকরির দাবিতে বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানাব।’’

শিকারির মৃত্যু ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছিল বিজেপির এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে। এ দিন অবশ্য ওই দাবি নিয়ে কিছু বলতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার যদি আদিবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তবে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করা উচিত। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।’’

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চোলাই কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে শিকারিকে গ্রেফতার করে আবগারি দফতর। তার চার দিন পরে, পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। শিকারিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। একই অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে সরব হন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও, অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আগেই দাবি করেছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement