Anubrata Mondal

কাজ না করলে দলেই নয়, বার্তা অনুব্রতর

সূত্রের দাবি, লোকসভা ভোটে বিভিন্ন বুথে পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান শতাব্দী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১৬
Share:

অনুব্রত মন্ডল। —ফাইল চিত্র।

সিউড়ি, বোলপুর: দলের কাজ যাঁরা করবেন না, তাঁরা যেন দলেই না থাকেন। নিজের ‘খাসতালুক’ বোলপুরে রবিবার তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠকে এ কথা স্পষ্ট করে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৈঠকে বীরভূম লোকসভা আসনের সাংসদ শতাব্দী রায় দলের ‘নিষ্ক্রিয়’ কর্মীদের সামনের সারিতে না রাখার অনুরোধ করলে, অনুব্রত ওরফে কেষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এমন কর্মীদের দলেই রাখতে চান না। তৃণমূল সূত্রে খবর, অনুব্রতর এমন মন্তব্যের পরে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে, এ বার কোন নেতা-কর্মীদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে,
তা নিয়ে।

Advertisement

জামিন পেয়ে তিহাড় সংশোধনাগার থেকে বীরভূমে ফেরার পরে, এই প্রথম বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দেন অনুব্রত। শতাব্দী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, দলের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, জেলার সমস্ত বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি-সহ শীর্ষ নেতারা।

সূত্রের দাবি, লোকসভা ভোটে বিভিন্ন বুথে পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান শতাব্দী। বলেন, “যে সমস্ত কর্মীরা বিগত দিনে দলের হয়ে কাজ করেননি, জেলা সভাপতির কাছে অনুরোধ, তাঁদের যেন দলের খুব সামনে আনা না হয়।” সাংসদের এমন কথা শুনে অনুব্রত মাইক হাতে বলে ওঠেন, “আমি চাইব, তাঁদের যেন দলেই রাখা না হয়।’’

Advertisement

লোকসভা ভোটে জেলায় তৃণমূলের ফলের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন অনুব্রত। বলেন, ‘‘যে সমস্ত বুথে হেরে আছি, সেখানে কেন হারলাম তা প্রত্যেকটি অঞ্চলে ১০ জন বুথের লোককে নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। দায়িত্বে থাকবেন এলাকার বিধায়কেরা। তিনটি পুরসভা এলাকায় হার নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে।” দলের অন্দরের নানা সমস্যা মেটানো নিয়ে কেষ্টর বার্তা, ‘‘সব বসে মিটিয়ে নেব৷ এক মাসের মধ্যে সব জলের জল হয়ে যাবে।’’

কেন তিনি এই অভিযোগ করলেন? শতাব্দী বলেন, ‘‘এ বার লোকসভা নির্বাচনে দেখেছি, অনেক এলাকায় বেশ কিছু নেতা-কর্মী দলে থেকেও বিরোধিতা করেছেন। ফলে, খারাপ ফল হয়েছে।’’ তবে তাঁর সংযোজন, ‘‘অনেকের আন্তরিকতা সত্ত্বেও ভাল ফল হয়নি। তা নিয়ে অভিযোগ নেই।’’ সাংসদ জানান, যাঁদের বিরুদ্ধে দল বিরোধিতার অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের নাম তিনি দলকে দিয়েছিলেন ভোটের পরে। প্রয়োজনে, ফের দেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement