Anubrata Mondal

১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি অল্প দামে বিক্রি করতে বাধ্য করেন কেষ্ট! ইডিকে জানালেন সেই মণীশ

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ দাবি করেছেন, সুকন্যার নামে থাকা এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটি ছিল আদতে তাঁর। তিনি ছাড়াও আরও ১৬ জন ছিলেন ওই সংস্থার অংশীদার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩১
Share:

ইডির কাছে নয়া দাবি মণীশ কোঠারির। — ফাইল চিত্র।

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ‘জোরাজুরি’তে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে অল্প দামে বিপুল টাকার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরই হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এমনটাই জানা গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় এই অভিযোগ করেছেন মণীশ। এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র দেওয়া চার্জশিটে এমনই একটি সংস্থার হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে তা অনুব্রতর ‘অনুরোধে’ করা হয়েছিল বলে উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।

Advertisement

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ দাবি করেছেন, সুকন্যার নামে থাকা এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটি ছিল আদতে তাঁর। তিনি ছাড়াও আরও ১৬ জন ছিলেন ওই সংস্থার অংশীদার। ইডির দাবি, মণীশ তাঁদের জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এই সংস্থাটি সুকন্যার নামে হস্তান্তর করতে মণীশকে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, মণীশ জানিয়েছেন, মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই সংস্থাটি সুকন্যার নামে বিক্রি করে দেন তিনি। সেই সময় ওই সংস্থার মূল্য ১৫ কোটি টাকা বলেও ইডিকে জানিয়েছেন মণীশ। এমনটাই জানা গিয়েছে তদন্তকারীদের সূত্রে। মণীশের আমলে কেনা ওই সংস্থার সমস্ত সম্পত্তিও কেষ্ট কন্যাকে হস্তান্তর করতে হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মণীশের দাবি যাচাই করতে ওই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুকন্যা এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড এবং নীড় ডেভেলপার্স নামে দু’টি সংস্থা কিনেছিলেন। ওই দুই সংস্থার তরফে কিছু সম্পত্তিও কেনা হয়েছিল। আগামী ২০ মার্চ সুকন্যাকে তলব করেছে ইডি। এই আবহে মণীশের এই নয়া দাবি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement