এ বার ফুরফুরা শরিফেই উদ্বোধন হবে নতুন দফতরের। — ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে শাসকদলের বিপর্যয়ের পরপরই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার নতুন ভবনও পেতে চলেছে পর্ষদ। এত দিন পর্ষদের কাজকর্ম পরিচালনা হত শ্রীরামপুরের দফতর থেকে। এ বার ফুরফুরা শরিফেই উদ্বোধন হবে নতুন দফতরের। এই নতুন ভবনের সঙ্গে অবশ্য সাগরদিঘির ফলাফলের কোনও সম্পর্ক মানছে না শাসকদল।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই হুগলি জেলার ফুরফুরা শরিফের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই পর্ষদের অফিস করা হয়েছিল শ্রীরামপুরে। সেই অফিসে বসে কখনও দায়িত্ব সামলেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও জেলাশাসক, কখনও আবার ফিরহাদ হাকিম। সম্প্রতি ফিরহাদের থেকে পর্ষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব মমতা তুলে দিয়েছে আদি সপ্তগ্রামের প্রবীণ বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের হাতে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর, ফুরফুরা শরিফে নতুন অফিসবাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। তবে দ্রুত কাজ এগোনোর সঙ্গে সাগরদিঘির নির্বাচনী ধাক্কা বা ‘সংখ্যালঘু মন ফেরানোর চেষ্টা’র কোনও সম্পর্কের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন শাসকদলের নেতারা। বিধায়ক তথা পর্ষদ চেয়ারম্যান তপনের কথায়, ‘‘অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা হয়ে ছিল। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে। এর সঙ্গে ভোটের হিসেব জোড়া অর্থহীন।’’
ফুরফুরা শরিফ গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের পাশেই তৈরি হচ্ছে নতুন ভবন। নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। আগামী ২৪ মার্চ পর্ষদের বৈঠকে নতুন দফতরের উদ্বোধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। দায়িত্ব পাওয়ার পর বেশ কয়েক বার ফুরফুরা শরিফে ঘুরে এসেছেন নতুন চেয়ারম্যান তপন। আলাদা করে কথা বলেছেন পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে।
যে হেতু ফুরফুরা শরিফে এত দিন পর্ষদের কোনও কার্যালয় ছিল না, তাই চেয়ারম্যানকে যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতে হত শ্রীরামপুর থেকেই। নতুন এই দফতরটি চালু হয়ে গেলে সেখান থেকেও ফুরফুরার উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজকর্ম চলতে পারবে। নিজের দায়িত্ব ও নতুন অফিস প্রসঙ্গে তপনের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন। নতুন অফিস তৈরি হয়ে গেলে সেখান থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করতে অনেক সুবিধা হবে। তবে শ্রীরামপুরের অফিসটিও রেখে দেওয়া হচ্ছে। যে হেতু প্রশাসনিক সব দফতর ও বিভাগ শ্রীরামপুরের কাছাকাছি, তাই সেখান থেকেও উন্নয়ন পর্ষদের অন্য কাজকর্ম হবে।’’