জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (বাঁ দিকে), মলয় পিট (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার ডেকে পাঠানো হল বোলপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিটকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফ থেকে বৃহস্পতিবারই তাঁকে কলকাতার অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী মলয় কেষ্ট মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। দু’জনের ঘনিষ্ঠতা ছিল যথেষ্টই। এমনকি কেষ্ট যে গাড়িতে ঘুরতেন, সেই গাড়িটিও ছিল আদতে মলয়ের নামে।
গরু পাচার মামলায় মলয়কে আগেও একাধিক বার ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। এ বার মলয় সিবিআইয়ের তলবি নোটিস পেলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মলয় বীরভূমের বড় ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, গত এক দশকে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রাজ্যে বহু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। অন্য ব্যবসাতেও নাগাড়ে সাফল্যের মুখ দেখেছেন। এই মুহূর্তে তাঁর অধীনে অন্তত কয়েকশো স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিএড কলেজ, পিটিটিআই প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউট, আইটিআই এবং ইন্টারন্যাশনাল স্কুল রয়েছে। এমনকি রাজ্যের বাইরেও ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে ছড়িয়ে মলয়ের শিক্ষা ব্যবসার সাম্রাজ্য। আর এই সব কিছুই মলয়ের হাতে তৃণমূল আমলে তৈরি বলে অভিযোগ।