মন্দিরে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ক্ষমতায় ফিরুন, এই কামনায় সোমবার বিকেলে খয়রাশোলের শতাব্দী প্রাচীন রসা অনাদি কালী মন্দিরে পুজো দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতকে কাছে পেয়ে পুরোহিতের আর্জি ছিল একটি হাইমাস্ট লাইটের। অনুব্রত প্রতিশ্রুতি দেন, সাত দিনের মধ্যে আলো লাগিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পরে এখানে একটি ভান্ডারা করার কথাও দেন অনুব্রত।
রসা মাঠে এ দিন একটি জনসভা ছিল তাঁর। দল সূত্রে খবর, এ দিনের ভিড় সন্তুষ্ট করেছে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপির কাছে ১৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসক দল। সভার পরেই নির্বাচনের ফল যাতে ভাল হয় এই কামনায় এলাকার মানুষের প্রিয় ওই কালী মন্দিরে পৌঁছে যান অনুব্রত।
দলের নেতাদের প্রতি বার্তা ছিল নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে মানুষের কাছে পৌঁছে সংগঠন মজুবত করার। তাই কেমন ভিড় হয় সেটা দেখার ছিল। তৃণমূল দাবি করেছিল ৬০ হাজার লোক আসবে। কমপক্ষে হাজার ত্রিশ লোক এসেছিলেন বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। ভিড়ের উদ্দেশ্যে অনুব্রত বলেন, ‘‘ভুল করবেন না। আমার সঙ্গে বিরোধ বা ঝামেলা থাকতে পারে। কিন্তু ভোট দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বহিরাগতদের জন্য দিদিকে বঞ্চিত করবেন না।’’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় এ দিনও বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন অনুব্রত।
নেতৃত্বের দাবি, ভিড় তুলনায় একটু কম হয়েছে কারণ সিউড়ি থেকে ৩৬টি বাস আগাম টাকা দিলেও আসেনি। অনুব্রত বক্তব্য রাখার সময়ও এই প্রসঙ্গ তোলেন স্থানীয় নেতারা। কে বাস দেয় নি অনুব্রত সেটা জানতে চাইলে তৃণমূল প্রভাবিত বাস মালিক সংগঠনের এক নেতা, তন্ময় পৈতণ্ডীর নাম উঠে আসে। তা শুনে অনুব্রত জানিয়ে দেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তন্ময়বাবু অবশ্য বলেন, ‘‘এমনিতেই শেষ মুহূর্তে বাসের জন্য বলেছিলেন খয়রাশোল নেতৃত্ব। মেয়ের বিয়ে ছিল। সোমবার ছিল অষ্টমঙ্গলা। তাই বিষয়টি আমি নিজে দেখতে পারি নি। অন্যের প্রতি দায়িত্ব দেওয়া ছিল। শুনেছি ৭০টির মধ্যে ৫০টি বাস গিয়েছে।’’
বিজেপির দাবি, সভায় উপস্থিতির সংখ্যা মেরেকেটে হাজার দশেক। বিজেপির জেলা সম্পাদক তথা স্থানীয় বাসিন্দা অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তাও ভিড়ের অধিকাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং টাকা দিয়ে আনানো লোক। স্বতঃফূ্র্ত ভিড় নয়।’’