ফের বিতর্কিত মন্তব্য অনুব্রত মণ্ডলের। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর ছেলেমেয়েরা ‘পাতা’ খাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবিত থাকলে এ সব দেখে আত্মহত্যা করতেন। এমন মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একই সঙ্গে মেয়েকে বিশ্বভারতীতে পড়াতে পারেননি বলে ফের এক বার আক্ষেপের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়।
মঙ্গলবার বীরভুমের বোলপুরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি সম্মেলনে যোগ দেন অনুব্রত। সেখানে তিনি বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘অধ্যাপকরা যে ভাবে পথ দেখাবেন সে ভাবেই পড়ুয়ারা চলবে। আজ সকালেই দু’টো অভিযোগ পেলাম। বিশ্বভারতীতে নাকি এত নেশাখোর হয়ে গিয়েছে, পাতা না কি সেটা ছেলেরা খাচ্ছে। সেটা না কি মেয়েরাও খাচ্ছে! আমি ভাবলাম, হায় রে দুর্ভাগ্য! রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে বোধ হয় সুইসাইড করতেন। এটা দেখতে হবে প্রশাসনিক স্তর থেকে।’’ এর পর অধ্যাপকদের তাঁর পরামর্শ, ‘‘আপনাদের হাতেই চাবিকাঠি। চাবিকাঠি ঠিক থাকলে ছেলেমেয়েরা মানুষ হবে। এখন স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসন নেই। তবু ভালবাসা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’
নিজের মেয়েকে বিশ্বভারতীতে পড়াতে পারেননি অনুব্রত। তা নিয়ে এর আগেও আক্ষেপ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে অনুব্রত বলেন, ‘‘এক দিন কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম, আমার বড় একটা দুঃখ আছে। উনি বললেন, ‘কিসের দুঃখ? তুই আমার সঙ্গে বিশ্বভারতী চল।’ আমি বলেছিলাম, ‘ওই জন্যই তো আমি যাব না।’ উনি বললেন, ‘কেন?’ আমি বললাম, ‘আমার মেয়েকে আমি ভর্তি করতে পারিনি।’ উনি বললেন, ‘এত তোর দুঃখ?’ উনি বললেন, ‘আমি যদি বিশ্বভারতীর মতো একটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে দিই?’ বললাম, ‘তা হলে আমার আর দুঃখ থাকবে না।’ তার পাশাপাশি বোলপুরেও মেডিক্যাল কলেজ চেয়েছিলাম। সেটাও করতে পেরেছি। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে শত কোটি প্রণাম জানাই।’’