মুরারইয়ের প্রতিবাদ সভায় অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন, ৪২ আসন না পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। রাজনীতি তিনি ছাড়েননি। বরং হেঁয়ালি করে বলেছিলেন রাজনীতিতে অমন অনেককথা বলতে হয়। এ বার দল ছাড়ার কথা শোনা গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মুখে। বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের ১১টি আসনে না জিতলে দল ছাড়বেন বলে ঘোষণা অনুব্রতের।
নিমতায় নিহত তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুর খুনের প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে মুরারইয়ের ভাদীশ্বরে সভার আয়োজন করে তৃণমূল।
অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমান। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে জেলায় পাঁচটি বিধানসভা আসনে বিজেপি-র থেকে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল।সেই প্রসঙ্গ তুলে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের কৌশল কী হবে, সভা শেষে তা জানতে চাইলে অনুব্রত বলেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ১১টি আসন তৃণমূল জিততে না পারলে দল ছেড়ে দেব। সেই সঙ্গে আমার দায়িত্বে থাকা বর্ধমানের চারটি আসন (ও ভাতার) জিততে না পারলে দল করব না—এই চ্যালেঞ্জ করে গেলাম!’’
লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্তও পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম—এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত। এ দিন তিনি জানান, দল তাঁকে ভাতারের কেন্দ্রের দায়িত্বও দিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের কারণ হিসাবে অনুব্রতেরও ব্যাখ্যা, বাম-ভোট রামের নামে গিয়েছে। তাঁর কথায়,‘‘সিপিএমের ভোট চলে গিয়েছে বিজেপিতে। তাই এ রকম ফলাফল হয়েছে। বীরভূম লোকসভা আসনে চারটি এবং বোলপুর কেন্দ্রে একটি বিধানসভা আসনে পিছিয়ে থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে তা পুনরুদ্ধার করব।’’
এর পরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হেঁয়ালির ছলে বলেছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে আগলদার ছিল না। তাই ছাগলে ধান খেয়ে গিয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে আগলদার সজাগ থাকবে।’’ এ দিনও নাম না করে বিজেপি-র প্রতি তাঁর হঁশিয়ারি, দল করুক। কিন্তু, উল্টোপাল্টা করলে তাঁরা ছেড়ে কথা বলবেন না।