Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: এরপর কি আরও কেউ, অস্বস্তি জেলা তৃণমূলে

গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন মাস দু’য়েক আগেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২২ ০৬:৪৩
Share:

গরু পাচার মামলায় আজ, সোমবার বেলা ১১টায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রবিবার বিকেলে বোলপুরে বাড়ি থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য বের হন অনুব্রত। গাড়িতে ওঠার সময় তিনি অবশ্য হাজিরা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। নিজস্ব চিত্র।

সিবিআইয়ের কাছে আজ, সোমবার যাবেন না বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে তাতে অস্বস্তি, উদ্বেগ কাটছে না জেলা তৃণমূলের অন্দরে। দেহরক্ষী সেহগালের গ্রেফতারির পর অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশিতে সেই উদ্বেগ আরও ঘনীভূত হয়েছে। সূত্রের খবর, দলের অন্দরেই ঘুরছে প্রশ্ন, ‘‘এরপর কি আরও কেউ?’’

Advertisement

গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন মাস দু’য়েক আগেই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তার পরে, বুধবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল ও জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরেই ফের অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতেই উদ্বেগ ধরা পড়ছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

আজ, সোমবার তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ফের সিবিআইয়ের ডাকে উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে দলের অনেক নেতা-কর্মীর মধ্যেই। জল্পনা চলছে গরু পাচার মামলায় সিবিআই আরও কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেল কি না তা নিয়ে। সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ৫ তারিখ সাঁইথিয়া জনসভা থেকে করা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে তৃণমূল সরকার খতম হওয়ার দাবি করার পাশাপাশি গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন বিরোধী দলনেতা। যে টুলু মণ্ডলের বাড়িতে বুধবার দিনভর তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই তাঁকে আগেই বালি পাথর পাচারের মূল পাণ্ডা বলে বলে দেগে দিয়েছিলেন শুভেন্দুই। তৃণমূল নেতারা তা নিয়ে বলছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে যে নিজেদের প্রয়োজনে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, সেটা শুভেন্দুর মন্তব্যেই পরিষ্কার।’’

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, সেহগাল নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদের ওই ব্যক্তি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দেহরক্ষীর দায়িত্ব পাওয়ার পরে যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী হন তা দেখে অবাক সকলেই। সিবিআইয়ের দাবি, সেহগালের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটিরও বেশি। দলের নেতা কর্মীদের একাংশ মানছেন, শুধু সম্পত্তির খতিয়ানই নয়, দেহরক্ষীর সঙ্গে জড়িত আর কারও নাম এসেছে কি না বা বুধবার তল্লাশিতে ঠিক কোন কোন নথি মিলেছে, তা কতটা অস্বস্তির হতে পারে চিন্তা সেখানেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement