—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনে চাষিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে দাবি করে বিজেপিকে নিশানা করছে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস। অন্য দিকে, শুক্রবার পিএম কিসান নিধি প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যের বিরুদ্ধে অনীহার অভিযোগ তুলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার তীব্র বিরোধিতা করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া জেলার কৃষি-প্রধান এলাকায় এ নিয়ে প্রচারে জোর দেওয়ার কথা জানাচ্ছে বিভিন্ন দল।
বিজেপির ‘কিসান মোর্চা’র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধবলেন্দু মিশ্র জানান, কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রচারে পাড়ায়-পাড়ায় ‘চাটাই বৈঠক’ করা হচ্ছে। সেখানে ওই আইন নিয়ে বিরোধীদের তোলা সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, দলীয় কর্মসূচি ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’-এ নেমেও কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে বোঝানো হচ্ছে। ধবলেন্দুবাবু বলেন, “সমস্ত ব্লকে ফসলের সহায়ক মূল্য প্রকৃত চাষিদের দেওয়া এবং পিএম কিসান নিধি প্রকল্প চালুর দাবি তোলা হবে। শীঘ্রই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছি।”
বিজেপির এই প্রচার কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের কৃষক সংগঠন কৃষক ‘খেতমজদুর তৃণমূল’-এর জেলা সভাপতি আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই গ্রামে চলো, বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির মধ্যে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রের কৃষি আইনের কুফল নিয়ে মানুষকে বোঝানো হয়েছে। ব্লকে-ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসূচিও হয়েছে। তিনি বলেন, “বিজেপি মুখে কৃষকদের জন্য প্রকল্পের কথা বলে। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে সেটার বাস্তব রূপায়ণ করেছেন। এখন আর চাষিদের মহাজনের কাছে ঋণের জন্য হাত পাততে হয় না। চাষিরা এই প্রকল্পের জন্য আমাদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন।”
গ্রামে-গ্রামে গিয়ে চাষিদের কাছে কেন্দ্র ও রাজ্য— দুই সরকারের বিরুদ্ধেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলছে বামপন্থী কৃষক সংগঠন কৃষকসভা। ওই সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায় বলেন, “বিজেপি-তৃণমূলের আমলে চাষিরা ভাল নেই। এটা তাঁরা নিজেরাই এখন উপলব্ধি করছেন। মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে আমরা এটাই অনুভব করেছি। চাষিরাও বুঝছেন, ওই দু’টো দলই তাদের প্রকৃত উন্নয়ন চায় না।”