Tapan Kandu Murder

Tapan Kandu-AJSU: তপনের বাড়িতে আজসু-র প্রধান

পূর্ণিমা তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, আইসি তাঁর স্বামীকে দলবদলের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ০৭:৫৩
Share:

জিজ্ঞাসাবাদে যাচ্ছেন মিঠুন কান্দু। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

আততায়ীর গুলিতে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়িতে এসে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’-এর (আজসু) প্রধান সুদেশ মাহাতো। ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের অপসারণের দাবিও করেন তিনি।

Advertisement

রবিবার রাতে তপনের বাড়িতে যান সুদেশ। সঙ্গে ছিলেন দলের এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল সিং, পুরুলিয়ার সম্পাদক আশুতোষ মাহাতোরা। তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর কাছে ঘটনার কথা জানতে চান আজসু প্রধান। পূর্ণিমা তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, আইসি তাঁর স্বামীকে দলবদলের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আইসি-র মদত ছাড়া, এ ঘটনা সম্ভব নয় বলে তাঁর ধারণা। ঘটনার পরে, সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এক জন ছাড়া আর কাউকে পুলিশ ধরতে পারেনি, দলের স্থানীয় নেতাদের কাছে এ কথা শোনার পরে, সুদেশের দাবি, ‘‘এ রাজ্যের পুলিশ দিয়ে ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে বলে মনে করি না। পরিবারটির সিবিআই তদন্তের দাবিকে আমিও সমর্থন করছি।’’

আজসু প্রধান দেখা করে যাওয়ার পরে, পূর্ণিমার দাবি, ‘‘সিবিআই তদন্ত ছাড়া, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়, সে কথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি|’’ খারাপ সময়ে সুদেশের কাছে পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানান পূর্ণিমা।

Advertisement

ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে শনিবার মৌনী মিছিল করেছিলেন ঝালদা শহরের বেশ কিছু মহিলা। সোমবার বিকেলে ফের একই দাবিতে রাস্তায় নামেন তাঁরা। বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে লেখা ব্যানার হাতে মিছিল হয়। ছিলেন তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা ও মেয়ে দীপা। তপনের পাড়া, ঝালদার আনন্দবাজার এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। বাসস্ট্যান্ড পেরিয়ে বাঁধাঘাট হয়ে শহর ঘুরে নিহতের বাড়ির সামনে শেষ হয়। মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয়, অভিযুক্ত আইসি-কে গ্রেফতার করতে হবে। বছর সতেরোর দীপা বলেন, ‘‘মানুষ রাস্তায় নেমে ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। মানুষজন যে ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমরা তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। বাবা আর ফিরবেন না। আমরা বিচার চাই।’’ মিছিল চলাকালীন নিরাপত্তায় নজর রাখতে পুলিশ মোতায়েন ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement