ফাটল ধরা দেওয়ালে ভয়ে বোর্ড টাঙানো হয়নি। —নিজস্ব চিত্র।
তৈরির বছর খানেকের মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ফাটল ধরায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বান্দোয়ানের পুয়াবাইদ গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভাঙাচোরা অবস্থা দেখে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ভবন। তাঁরা নতুন করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির দাবি তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার সিডিপিও (বান্দোয়ান) মৃদুল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্রের অবস্থা
আমরা জানি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুয়াবাইদ, লাহাডুংরি ও ডাঙাগ্রামের প্রসূতি ও শিশু মিলিয়ে মোট ২৭ জন উপভোক্তা পুষ্টিকর খাবার পায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রের রান্না আগে এক ব্যক্তির বাড়িতে হতো। বছর তিনেক আগে লাহাডুংরি গ্রামের অদূরের একটি জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ফেব্রয়ারি মাস থেকে রান্না শুরু হয় নতুন কেন্দ্রে।
বাসিন্দাদের দাবি, ছাই-ইট দিয়ে কেন্দ্র তৈরিতে তাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন।যদিও তা মানা হয়নি। কিছু দিন পরেই দেওয়ালে ফাটল তৈরি হয় বলে অভিযোগ। ক্রমশ ফাটল ছড়ায়। কেন্দ্রের দু’টি শৌচাগারের দরজা খুলে পড়েছে। রান্নাঘর, শিশুদের শ্রেণিকক্ষেও ফাটল ধরেছে।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘চার দিকে এত ফাটল যে কোনও সময় ঘরটি ভেঙে পড়তে পারে। এখানে বাচ্চাদের পড়াতে কী ভাবে পাঠাব? খুব ভয় করে।’’ কেন্দ্রের কর্মীরা জানান, দেওয়ালের এমন পরিস্থিতি যে কোথাও পেরেক মেরে বোর্ড টাঙাতেও তাঁদের সাহস হচ্ছে না। তাই বোর্ড মাটিতে রেখেই পড়াতে হচ্ছে।
ওই কেন্দ্রে কর্মী কৌশল্যা মাহাতো বলেন, ‘‘সমস্যার কথা দফতরকে জানানো হয়েছে। একবার পরিদর্শনও হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই থাকতে হচ্ছে।’’