Road blockade

পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, খটঙ্গায় অবরোধে গ্রামবাসী

টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০১:৪৮
Share:

থমকে: বাসিন্দাদের অবরোধে দাঁড়িয়ে আছে ট্রাক। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনায় জখম এক যুবকের চিকিৎসার জন্য চাঁদা তুলছিলেন বাসিন্দারা। সেই সময় পুলিশ গিয়ে চারজন গ্রামবাসীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তার জেরেই দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধের জেরে নাকাল হলেন স্থানীয়রা। শনিবার সকালে সিউড়ি রানিশ্বর যাওয়ার রাস্তায় খটঙ্গা গ্রামের কাছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ চলে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

গ্রামবাসীদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা গোঁসাই ধীবর বালিঘাটে পে-লোডার অপারেটরের কাজ করেন। শুক্রবার রাতে তিনি সিউড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে জখম অবস্থায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে বর্ধমান, পরে কলকাতায় পাঠানো হয়। এলাকাবাসীর দাবি, গোঁসাই এবং তাঁর মা খটঙ্গা গ্রামে থাকেন। তাঁদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তাই গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন যে গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলে তাঁর চিকিৎসা করানোর। সেই মতো রবিবার সকালে তাঁরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলছিলেন বলে দাবি বাসিন্দাদের। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ এসে তাঁদের চারজনকে বেধড়কভাবে মারধর করে। তাতেই স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয় ও পথ অবরোধ করে। টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। লাঠি হাতে রাস্তায় হাজির হন গ্রামের কয়েকশো পুরুষ ও মহিলা। স্থানীয়রা দাবি করতে থাকেন, ঘটনার জন্য পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) এলাকায় পৌঁছন। ঘণ্টাখানেক ধরে এলাকাবাসীদের বোঝানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জখম যুবকের মা পুতুল ধীবর বলেন, ‘‘ছেলে ছাড়া আমার কেউ নেই। সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তাই গ্রামবাসীরা আমার পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অকারণে তাঁদেরকে মারধর করেছে।’’ গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে দিলীপ ধীবর বলেন, ‘‘আমরা রাস্তার গাড়ি থেকে টাকা তুলিনি। কেবল গ্রামবাসীদের কাছে থেকে চাঁদা তুলছিলাম। কিন্তু পুলিশ অহেতুক মারধর করল।’’

Advertisement

পুলিশের পাল্টা দাবি, ওই যুবকরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি চাঁদা তোলার পাশাপাশি রাস্তায় যাতায়াতকারী গাড়ি থেকে টাকা তুলছিলেন। তাই পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। কিন্তু কাওকে মারধর বা লাঠিচার্জ করা হয় নি। জেলা পুলিশের আরও দাবি, ওই রাস্তা দিয়ে প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে। তাছাড়া তিলপাড়া ব্যারাজের উপরের রাস্তায় কাজ চলছে। সেই জন্য দুবরাজপুর থেকে আসা গাড়িগুলিকে খটঙ্গার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওঁরা সেই সকল গাড়ি থেকে টাকা নিচ্ছিল। পুলিশ গিয়ে কেবল সেটা বাধা দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement