Tapan Kandu

Jhalda Municipality By Election: কাকা তপনের শূন্যস্থান পূরণে কংগ্রেসের বাজি মিঠুন, ঝালদার উপনির্বাচন ঘিরে টানটান উত্তেজনা

ঝালদা উপনির্বাচনে জিতে কাকা তপন কান্দুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে চান ভাইপো মিঠুন। অন্য দিকে, তৃণমূলের জগন্নাথের দাবি, তাঁর অবধারিত জয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২২ ১৮:২৬
Share:

মৃত তপনের ছবি নিয়ে শেষবেলার প্রচারে কংগ্রেস। নিজস্ব চিত্র।

পুরুলিয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর গত কয়েক মাসে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই শূন্যস্থান আসন পূরণের ভোট রবিবারই। ঝালদা তো বটেই, এই নির্বাচন নিয়ে পুরুলিয়াবাসীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে। শনিবার শেষ বেলার নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেলেছে সব কটি রাজনৈতিক দল। কংগ্রেসের বাজি মৃত তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু। অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী করেছে জগন্নাথ রজককে।

Advertisement

শেষ বেলার প্রচার শেষে কংগ্রেসের দাবি, এগিয়ে তারাই। কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুনের কথায় আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। এই ওয়ার্ডের (২ নম্বর) মানুষ আমাকে দাঁড় করিয়েছে। তাই ওঁরাই যে, আমাকে জয়যুক্ত করবেন, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’ মিঠুনের আরও সংযোজন, ‘‘নির্বাচনে জিতে কাকুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে চান মিঠুন।’’ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তপনের স্ত্রী পূর্ণিমাও। বলেন, ‘‘এই ওয়ার্ডের মানুষজন মিঠুনকে চেয়েছেন। আমিও চেয়েছি মিঠুন প্রার্থী হোক। আশা করি, এই ওয়ার্ডের ভোটাররা আমার স্বামীকে যে ভাবে জয়ী করেছিলেন, সেই ভাবে মিঠুনকেও জয়ী করিয়ে আমার স্বামীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেবে।’’

অন্য দিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগন্নাথও। শনিবারের প্রচার শেষে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। অবধারিত ভাবে জিতব। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’’ কংগ্রেসকে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘‘সহানুভূতির ভোট বলে কিছু হয় না।’’ প্রচারে ফাঁক রাখছে না গেরুয়া শিবিরও। বিজেপি প্রার্থী পরেশ চন্দ্র দাসের জোর গলায় দাবি, ‘‘আমিই এক মাত্র যোগ্য প্রার্থী। মানুষ যদি একটু ভাবনাচিন্তা করে সচেতন ভাবে ভোট দেন, জিতব আমিই।’’ তবে তাঁকে প্রার্থী করলেও দল কোনও রকম সহযোগিতা করেননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement