— প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য সরকারের আবার আশ্বাস। আবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের হিমঘর মালিক এবং আলু ব্যবসায়ীরা একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই রাজ্য সরকারের তরফে আপাতত সাত দিন রাজ্যের সীমানায় কড়াকড়ি শিথিল করার আশ্বাস মিলতেই ‘কর্মবিরতি’ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আলু রফতানির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক বাধার অভিযোগ তুলে গত শনিবার থেকে রাজ্য জুড়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্মঘটের ডাক দেয় প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। তার ফলে শনিবার থেকেই হিমঘরগুলিতে আলু নামানোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার থেকে রাজ্যের বাজারগুলিতে বন্ধ হয়ে যায় আলুর জোগান। খুচরো এবং পাইকারি বাজারগুলিতে মজুত আলু দিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাজারের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু, জোগান স্বাভাবিক না হলে বুধবার থেকে বাংলার সব্জি বাজারগুলিতে আলুর আকাল শুরুর আশঙ্কা ছিল। সে ক্ষেত্রে আবার আলুর দাম বৃদ্ধিরও আশঙ্কাও ছিল। এই কথা ভেবে রাজ্যের তরফে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আন্দোলনকারীদের। আলু ব্যবসায়ীরাও তাতে সাড়া দেন। তার পর মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। ব্যবসায়ী মহলের একটি সূত্রে খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তো ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক। আর ব্যবসায়ীদের তরফে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা ছাড়াও ছিলেন উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকের পর প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য কমিটির উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, ‘‘বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে সাত দিন রাজ্যের সীমানা শিথিল করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ফের হিমঘরগুলিতে আলু নামানোর কাজ শুরু হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এ রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি ভিন্রাজ্যে আলু রফতানি করা ছাড়া আমাদের কাছে দ্বিতীয় কোনও উপায় তো নেই। এই পরিস্থিতিতে সাত দিন পর আবার রাজ্যের সীমানায় কড়াকড়ি শুরু হলে নতুন করে আমাদের ভাবতে হবে।