মিছিলে সিউড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন। নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার জেলার সদর শহর সিউড়িতে পথে নামল একাধিক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন।
রাজ্যের শাসক দলের বিরোধী সংগঠনগুলি যেমন এ দিন প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল, তেমনই শাসক দল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত একাধিক সংগঠনও এ দিন দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে পথে নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। শনিবার দুপুরে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে একটি মৌনী মিছিলের আয়োজন করে সিউড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন। সিউড়ি আদালতে কর্মরত উকিলদের প্রায় সকলেই যোগ দিয়েছিলেন এই মিছিলে। মিছিলের সামনে সুবিচারের দাবিতে পোস্টার ধরে হাঁটেন মহিলা আইনজীবীরা। তাঁদের সঙ্গেই যোগ দেন অন্যরাও। সিউড়ি আদালত থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ভবন সংলগ্ন রাস্তা ঘুরে আবারও আদালতে এসে শেষ হয় এই মিছিল। আইনজীবীরা জানান, একজন নারী হিসাবে, একজন আইনজীবী হিসাবে এবং সর্বোপরি একজন মানুষ হিসেবে এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা এবং ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করার দাবিতেই এই মিছিল।
এ দিন বিকেলে সিউড়ি আদালত থেকেই জেলা আদালত কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ও সিউড়ি ল' ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলের পুরোভাগেও ছিলেন মহিলারাই। মিছিল থেকে তিনটি দাবি তোলা হয়৷ নির্যাতিতার প্রতি ন্যায় বিচার, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশের দাবি।
এ দিন সন্ধ্যায় সিউড়ির মসজিদ মোড়ে একটি বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ। আরজি করের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সেখানে প্রশ্ন তোলেন সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের বীরভূম জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, “আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের উপরে যে অত্যাচার করা হয়েছে, তার জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করাকালীন যেভাবে আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা কোচবিহার জেলা সম্পাদক সুজিত দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমরা তারও প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।”