মহম্মদবাজারের ডেউচায় তৃণমূলের বিজয় মিছিল। ১৩ জুলাই ২০২৩। ছবি: পাপাই বাগদি
এলাকাবাসীর সঙ্গে পরামর্শ করে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই এলাকাবাসীর সংখ্যাগরীষ্ঠের সমর্থন মিলল না। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের দু’টি আসনে লড়ে হেরে গিয়েছে ডেউচা-পাঁচামি খোলামুখ কয়লা খনি বিরোধী আদিবাসী অধিকার মহাসভা। ফলে, তাঁদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শাসকদলের দাবি। যদি মহাসভার অভিযোগ, ভোটে নানা অনিয়ম হওয়ায় জন্য তাদের হার হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ হিসেবেই আদিবাসী অধিকার মহাসভা। এ বারই প্রথম নির্বাচনী রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ। জেলা পরিষদের ২৬ নম্বর আসনে মহাসভার হয়ে লড়াইয়ে নামেন সনদী হাঁসদা। পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে লড়াইয়ে নামেন মহাসভার যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষীরাম বাস্কি। দু’জনেই পরাজিত হয়েছেন।
মহাসভার দাবি, ভোটে জিতে খনি বিরোধী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা ছিল। মহাসভার যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ টুডু বলেন, ‘‘আমরা লাগাতার খনি বিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছি।এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেই ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলাম। ভোটের আগের রাতে এলাকায় টাকা বিলিয়েছে শাসকদল। তাই এমন ফলাফল। এতে খনি বিরোধী আন্দোলন থেমে যাবে না। আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
এ দিন মহম্মদবাজারের বাস স্ট্যান্ড থেকে মিছিল বার করে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে রামপুরহাট বিধানসভার মহম্মদবাজার ব্লক তৃণমূলের যুগ্ম সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিল্পাঞ্চল এলাকার পাঁচটি পঞ্চায়েতেই তৃণমূল জয়ী হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় এলাকার মানুষ শিল্পের পক্ষে। কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য আন্দোলন করার চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকার যে ভাবে মানুষকে নানা প্রকল্পের সুবিধা দিয়েছে তাতে কাউকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’’