সারেঙ্গার কলেজে জখম। নিজস্ব চিত্র
স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি চলাকালীন বিজেপি ও তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার তেতে উঠল সারেঙ্গার পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু কলেজ। বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির অভিযোগ, রাইপুরের তৃণমূল বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টুডু লোকজন নিয়ে এসে ঝামেলা পাকিয়েছেন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা জানান, ঘটনায় ১১ জন কমবেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। এক জনের আঘাত গুরুতর। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আহতরা সবাই বহিরাগত। কলেজের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কুন্তলকান্তি চট্টরাজ বলেন, ‘‘যা ঘটেছে সেটা কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে।’’
বৃহস্পতিবার ওই কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ‘ভেরিফিকেশন’ ছিল। হাজির ছিলেন এবিভিপি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু কলেজের এবিভিপির ছাত্রনেতা প্রণব মাহাতো ও তরুণকুমার পাত্র বলেন, ‘‘বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা রাইপুরের বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টুডুর নেতৃত্বে শতাধিক লোক কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন দুই সংগঠনের পডুয়ারাই ভিতরে রয়েছেন। আমরা দাবি করি, পরিচয়পত্র ছাড়া কলেজে ঢোকা যাবে না। তাতেই ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়।’’ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বীরেন্দ্রনাথবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, পরিচালন কমিটির সভাপতি হিসাবে প্রায়শই তাঁকে কলেজে যেতে হয়। এ দিনও গিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার সঙ্গে বাইরের কোনও লোক যায়নি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেলায় একটু ভাল ফল করায় এখন সব জায়গায় ইচ্ছা করে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘ভেরিফিকেশনে’ সাহায্য করার নাম করে এ দিনও বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে এসে ঝামেলা পাকিয়েছে বিজেপিই। তাতে কলেজের তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ বিধায়কের।
সারেঙ্গো থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কুন্তলকান্তি চট্টরাজ বলেন, ‘‘বহিরাগতদের ঢোকা নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশের সক্রিয়তায় বড়সড় গোলমাল রোখা গিয়েছে।’’ তিনি জানান, বহিরাগতদের কলেজে ঢোকার ব্যাপারে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ রয়েছে। আগামী দিনে সেই ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ আরও কড়া হবেন বলে জানিয়েছেন কুন্তলবাবু।