তৃণমূল নেতার বাড়ি, তাঁর নামও রয়েছে সরকারি আবাস তালিকায়। — নিজস্ব ছবি।
আবাস যোজনায় নাম ওঠা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একের পর এক জেলায় অযোগ্যদের নাম দিয়ে তালিকা ভরার অভিযোগ শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাতেই নবতম সংযোজন পুরুলিয়া জেলা। পুরুলিয়া ১ নম্বরের ডিমডিহা অঞ্চলের ভুলগ্রামে ৯৭ জনের তালিকার অধিকাংশই অযোগ্য, এমনই দাবি বিরোধী বিজেপির।
ভুলগ্রামের জনসংখ্যা প্রায় চার হাজার। তার মধ্যে ৯৭ জনের নাম উঠেছে আবাস প্রকল্পের খাতায়। তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূলের উপপ্রধান, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। অঞ্চল সভাপতির ছেলে আবার কাজ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। অথচ তাঁর বাবারই নাম জ্বলজ্বল করছে আবাস যোজনার তালিকায়। উপপ্রধানের ছেলে পেশায় সিভিক কর্মী। তাঁরও বাবার নাম রয়েছে তালিকায়। যদিও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুভাষ মেহতা বলছেন, ‘‘আমার টালির বাড়ি। ছেলে সেনায় কাজ করলেও আজ পর্যন্ত আমি কিছু পাইনি। এ বার আবাস যোজনায় নাম উঠেছে।’’ অন্য দিকে তৃণমূলের উপপ্রধান বাজারিপ্রসাদ কুইরী বলেন, ‘‘বাড়িটি আমার দাদু করে গেছেন। আগে আমি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাইনি, তাই আবাস প্লাসে একটা বাড়ি দিতে বলেছিলাম।’’
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য নীলমণি কুম্ভকার বলেন, ‘‘যাঁরা তালিকাটি তৈরি করেছেন তাঁদেরই পরিবারের সদস্যদের নামে ভরা তালিকা। শুধু মাত্র তৃণমূলের লোকেদেরই নাম আছে। বিরোধীরা বাড়ি পায়নি।’’ যদিও বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত ডিমডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা পাণ্ডে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরুলিয়া ১ এর বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে এখনই কিছু বলতে পারব না।’’